দলে বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিলেন সোনিয়া গান্ধী? কংগ্রেসের অন্দরে বার বার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আঙুল উঠেছে। গত বছর আগস্টে সভানেত্রীকে সরাসরি ক্ষোভ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ২৩ জন বিক্ষুব্ধ। স্থায়ী নেতা চেয়ে দলীয় নির্বাচনের দাবিও তুলেছিলেন। সেসবেই জল ঢাললেন আজ সোনিয়া গান্ধী। জানিয়ে দিলেন, ‘আমিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী’।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াল রাহুল গান্ধী। সেই থেকে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী পদে রয়েছেন সোনিয়া। কংগ্রেসের একটা অংশ নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি তুলেছেন। এদিন কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসেছিল। তাতেই নির্বাচনের দাবি কার্যত উড়িয়ে দিলেন সোনিয়া। বুঝিয়ে দিলেন দলের রাশ এখনও থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই।
তিনি বললেন, ‘আমি সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের পক্ষপাতী। কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই।’ তার পরেই কড়া সুরে বললেন, ‘আপনারা অনুমোদন দিলে বলতে পারি, যে এখনও আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী’। প্রশ্ন উঠেছিল অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়ার সক্রিয়তা নিয়েও। তার জবাবও দিলেন ঝাঁঝালো সুরেই।
সোনিয়া বললেন, ‘আপনারা জানেন যে এসব ইস্যু নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী, মনমোহন সিংজি, রাহুলজির পাশাপাশি সমমনস্ক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছি। জাতীয় ইস্যু নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছি। সংসদে আমাদের কৌশল নিয়েও আলোচনা করেছি।’ তার পরেই ফের দলের একাংশের প্রকাশ্যে মুখ খোলা নিয়ে নিজের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলেন সোনিয়া। বললেন, ‘এই চার দেওয়ালের বাইরে যা বার্তা দেওয়া হবে, সবটাই যেন হয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির দলগত সিদ্ধান্ত।’
আর ও পড়ুন সাত সকালে প্রবল শব্দে কেঁপে উঠল রায়পুরের রেলস্টেশন, কেন?
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের অন্দরে বার বার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আঙুল উঠেছে। গত বছর আগস্টে সভানেত্রীকে সরাসরি ক্ষোভ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ২৩ জন বিক্ষুব্ধ। স্থায়ী নেতা চেয়ে দলীয় নির্বাচনের দাবিও তুলেছিলেন। সেসবেই জল ঢাললেন আজ সোনিয়া গান্ধী। জানিয়ে দিলেন, ‘আমিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী’। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াল রাহুল গান্ধী। সেই থেকে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী পদে রয়েছেন সোনিয়া।
কংগ্রেসের একটা অংশ নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি তুলেছেন। এদিন কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসেছিল। তাতেই নির্বাচনের দাবি কার্যত উড়িয়ে দিলেন সোনিয়া। বুঝিয়ে দিলেন দলের রাশ এখনও থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই।