সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হলেন সিপিএম নেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জী। মঙ্গলবার বামেদের বিশাল সমাবেশ ছিল কলকাতায়। যার বক্তব্য এদিন মিডিয়াকে আকর্ষণ করে তিনি তরুণ নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী। তার বক্তব্য এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকাল হয়। এক তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতা দিলিপ সিংহরায় এই ট্রোল করেন। তিনি বলেন, বামফ্রন্ট আমলে ৫৬০০০ হাজার মানুষের খুন ও ডজনখানেক গনহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, কমরেড মিনাক্ষী দেবী, আপনার আজকের ‘ইনসাফ’ সভায় কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ইনসাফ দাবী করছে বাংলার মানুষ। যদি ইনসাফ করেন তবে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেন তারা।
যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড গুলি আপনাদের কমরেড কাকু, জেঠুরা তাদের বিগত সাড়ে ৩৪ বছরের জামানায় ঘটিয়েছেন তা ভয়ংকর বললে কম বলা হবে। ১৯৭০ সাইবাড়ি হত্যাকান্ড আজও শরীরে কাঁটা দিয়ে যায়। ১৯৭৯ মরীচঝাঁপি হত্যাকান্ড। ১৯৮২ বীজনসেতুর গতহত্যা। ১৯৯০ বানতলায় গনধর্ষন। ১৯৯৩, ২১ শে জুলাইয়ের কলকাতায় তেরজনের মৃত্যু। তাও আবার পুলিশের গুলিতে। গনহত্যা। ২০০০ বীরভূমের নানূরের গনহত্যা। ২০০১ ছোট আঙ্গারিয়ার গনহত্যা। ২০০৩ ধানতলার গনধর্ষন লুট ছিনতাই খুন। ২০০৬ রক্তাক্ত সিঙ্গুর।
আরও পড়ুন – পাকা রাস্তা নির্মাণের বোর্ড থাকলেও আদৌতে তৈরী হয়নি রাস্তা, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
২০০৭ নন্দীগ্রামের গনহত্যা। ২০০৮ লালগড়ে মাওবাদী তকমা দিয়ে আদিবাসী মা বোনদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত অত্যাচার ! ২০১১ নেতাই এর গনহত্যা ! এসব মিলিয়ে সিপিএম জামানায় ৫৬০০০ সাধারণ কংগ্রেস- তৃণমূল নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন ! আর এ-সবের পেছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আপনার হার্মাদ কমরেড কাকু, জেঠুরা জড়িত ছিলেন ! বাম বিরোধী মানুষ হিসেবে সাড়ে ৩৪ বছর ধরে এমন অনেক নৃশংস খুন-অত্যাচার দেখে দেখে আমাদের মত সাধারন মানুষের জীবন আতঙ্কে কেটেছে !
সেই প্রতিশোধের আগুন আর বিচারের দাবীর দাবী এখনও বাংলার সেইসব অত্যাচারিত মানুষজনের পরিবার মনে মনে পুষে রেখেছেন ! বুঝলাম, আজ না জেনেশুনে এড়িয়ে গেছেন ! চলুন না একদিন না হয় আবার উপরোক্ত বাংলার মাটিতে সংঘঠিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস গুলির ইনসাফ চেয়ে প্রতিবাদ সভা করি, কেমন হয় ? কথা দিচ্ছি, আমিও সেদিন না হয় আপনার সঙ্গে একসাথে সামিল হয়ে বক্তব্য রাখবো ! ট্রোল হলেন সিপিএম