সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত যুবক,৬৭ দিন পর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাল কফিন বন্দী দেহ। সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত যুবক। ৬৭ দিন পর কফিনবন্দী নিথর দেহ গ্ৰামের বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার ও আত্মীয়স্বজনেরা।পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই মৃত যুবকের নাম শেখ ফারিদ (২৮) ।
বাড়ি মালদা জেলার ইংলিশ বাজার থানার মিল্কি এলাকায়।শুক্রবার সন্ধ্যায় দেহটি গ্ৰামের বাড়িতে পৌঁছায় বলে খবর।পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আশায় প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে ঠিকাদারি এজেন্ট মারফতে সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিল ফরিদ।গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয় মারা যায় বলে খবর।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের নিদান!
পরিবারের অভিযোগ,ওই ঠিকাদারী এজেন্টের নাম উজির আলী।বাড়ি রতুয়া থানার কুমারগঞ্জ এলাকায়।ওই এজেন্ট মারফতে সৌদি আরবে কাজ করতে যায় ফরিদ। উজির আলী কোম্পানিতে কাজ দেওয়ার নাম করে সৌদি আরবে পাঠালেও সেখানে এক ঠিকাদারের কাছে কাজ করতে হয়। ৮ ঘন্টার বদলে ১২ ঘন্টা কাজ করাতো ওই ঠিকাদার।প্রতিদিন ভোর চারটায় কাজে যোগদান দিতে হতো।
অতিরিক্ত কাজের কোন পারিশ্রমিক পেত না।গত ৫ সেপ্টেম্বর কাজ করতে গিয়ে ১১ টা নাগাদ বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মারা যায় বলে ঠিকাদারের লোকের মারফতে জানতে পারেন।ঠিকাদারি এজেন্ট উজিরকে দেহটি বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বললেও বিভিন্ন অজুহাতে ও ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার আশায় ৬৭ দিন কাটিয়ে দেই বলে অভিযোগ।এজেন্ট উজির আলীর উদাসীনতার কারণে দেহটি বাড়ি পৌছাতে এতদিন সময় লেগেছে বলে অভিযোগ।
মৃত শেখ ফরিদ আলীর পরিবার রয়েছে স্ত্রী সহ দুই নাবালক সন্তান।সেই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছে স্ত্রী।