স্কাই, তার নাম এখন আকাশ। তার নাম এখন স্কাই। এস কে ওয়াই। কেননা সূর্য তো আকাশে থাকে। তার বলও অধিকাংশ সময় আকাশ পথে উড়ে যায়। তাই ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যটসম্যান সূর্য কুমার যাদব। তিনি আজ টি-২০ ফরম্যাটে সবচেয়ে সেরা রানের নিরিখে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সূর্য চলতি বছর ছোট ফরম্যাটে সর্বাধিক রান করে ফেললেন।
টপকে গেলেন পাকিস্তানের ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ানকে। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে পর্যন্ত ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে সব থেকে বেশি রান ছিল রিজ়ওয়ানের দখলে। ১৯ ম্যাচে ৮২৫ রান করেছিলেন তিনি। ২০২২ সালে ২৫টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সূর্যকুমার। তাঁর রান ৮৬৭। গড় ৪১.২৮। স্ট্রাইক রেট ১৮৪.৮৬। চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে একটি শতরান ও সাতটি অর্ধশতরান করেছেন ভারতের এই ডান হাতি ব্যাটার। জুলাই মাসে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ১০ রান করার পরে সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলেন সূর্য। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৫১ রান করেন তিনি।সুরেশ রায়না, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও দীপক হুডার পরে তিনি পঞ্চম ভারতীয় ক্রিকেটার হয়েছিলেন যাঁর টি-টোয়েন্টিতে শতরান রয়েছে। পরে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করে সেই তালিকায় যোগ দেন বিরাট কোহলি।এক ক্যালেন্ডার বছরে টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক রানের রেকর্ডও সূর্যর দখলে। শিখর ধাওয়ানের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
আরও পড়ুন – উৎসবের মেজাজে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে “ছট” বন্দনা
এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রানের রেকর্ড করতে পারেন সূর্য। কারণ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত আরও তিনটি ম্যাচ খেলবেন তিনি।ভারত সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেললে আরও ম্যাচ পাবেন তিনি। হাজার রান করতে হলে এখনও ১৩৩ রান করতে হবে সূর্যকে। এই বিশ্বকাপেই সেটা তিনি করে ফেলতে পারেন।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে যে পিচে সূর্য অর্ধশতরান করেছেন সেটা কিন্তু সহজ ছিল না। কী ভাবে এত দ্রুত তিনি রান করেছেন সেই প্রসঙ্গে সূর্য বলেছেন, ‘‘আমি যখন ব্যাট করতে যাই, তখন কোহলি আমাকে বলে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে। পিচের কথা না ভাবতে। তাই আমি নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলেছি।
বল অনুযায়ী শট খেলেছি।’’সূর্য যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ভারতের রান ১২ ওভারে ৮৪। ব্যাট করতে নেমে সময় নষ্ট করেননি তিনি। প্রথম বল থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করতে থাকেন। তাই সূর্যকে ৩৬০ ডিগ্রির ক্রিকেটার বলা হয় যা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার এবি ডিভিলিয়ার্সকে এতদিন বলা হচ্ছিল। যে পিচে অন্য ব্যাটসম্যানরা ঠক ঠক করে কেঁপেছেন জোরে বোলারদের সিম ও সুইংয়ে সূর্য সেখানে চার ছক্কা মেরে বড় রান করে ভারতের রানকে কিছুটা ভদ্রস্ত করেছিলেন।