নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম,২৭শে আগস্ট: এলাকাবাসী এবং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ স্কুলের বহু প্রাচীন গাছ অন্যায় ভাবে কেটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার ডেউচা গৌরাঙ্গিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে স্কুলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেছে বনদপ্তর। অন্য দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি নিয়মনীতি মেনেই গাছ কাটা হয়েছে, তবে সেটা স্কুলের উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ স্কুল চত্বরের মধ্যে নারকেল, মহুয়া, চটরা, গামার এবং বটগাছ নিয়মবহির্ভূতভাবে ডেউচা গৌরাঙ্গিনী উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল কর্তৃপক্ষ কেটে দিচ্ছে । ইতিমধ্যেই নারকেল চটরা গামার গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়াদের তৎপরতায় বাকি গাছগুলো কাটা থেকে রক্ষা পায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে বৃক্ষনিধনের খবর পেয়ে নিশ্চিন্তপুর ফরেস্ট রেঞ্জার আধিকারিক অজিত হাজরা র নেতৃত্বে একটি দল স্কুলে যায় এবং গাছ কাটা বন্ধ করেন। স্কুলের প্রাক্তনীদের আরও অভিযোগ কয়েকটি কদম গাছ এর আগেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কেটে দিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠক করে জেলা বনদপ্তর এ স্কুল ক্যাম্পাস এবং আরও একটি দাগ নাম্বারে দুটি জায়গা র গাছ কাটার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। স্কুলের ফার্নিচার নির্মাণের জন্য এই গাছগুলি ব্যবহার করা হবে। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র শান্তনু রায়, কৃষ্ণকান্ত সাহা, অমিত দাসরা বলেন, উন্নয়নের নাম করে স্কুল চত্বরের মধ্যে ওইভাবে গাছগুলো কেটে দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করছি। যদি স্কুলের ঘর নির্মাণের জন্য গাছ কাটতে হয় তবে সেটারও দরকার নেই তার কারণ স্কুলের প্রচুর ফাঁকা জায়গা এখনো আছে। ফার্নিচার এর জন্য যদি গাছ কাটা হয় তাহলে নারকেল গাছ কেটে কি বানানো হবে। অন্য জায়গায় যেখানে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো আছে সেগুলো কাটুক তাতে আমাদের কারোর কোন আপত্তি নেই। স্কুলের যে বাকি গাছ গুলো বর্তমান আছে তা কাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।