স্কুলে ওড়না বিতর্ক, এলাকায় উত্তেজনা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা। ঘটনাটি পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর নরেন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরে।গতকাল স্কুলের ইউনিফর্ম না পরে অন্য পোশাক পরে স্কুলে আসায় ছাত্রীকে বকাবকি করেন শিক্ষিকা বলে অভিযোগ অভিভাবক এবং স্কুলছাত্রীর,তারই জেরে স্কুলের সভাপতির সুশান্ত কুমার দাস কে ফোনে নানা রকম অশ্লীল গালাগাল করে ওই ছাত্রীর বাবা বলে অভিযোগ।
এমনকি স্কুল সভাপতিকে রাস্তায় ঘিরে ধরে নানারকম কটুক্তি করে স্কুলের বেশকিছু অভিবাবকরা এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় থানার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্কুল ছাত্রী এবং অভিভাবকদের অভিযোগ হাতে মেহেন্দি নিয়ে এবং ইউনিফর্ম না পরে জরির কাজ করা সাদা ওড়না মাথায় দিয়ে গতকাল স্কুলে যায় এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
ওই স্কুলে এক শিক্ষিকা ইউনিফর্ম পরে স্কুলে না আসায় ওই ছাত্রীর ওড়না পরা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। সেখানেই ছাত্রীর সঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়। স্কুল ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি চলে গিয়ে অভিভাবকদের জানালে অভিবাবকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই খবর শোনার পর বর্তমান দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের অঞ্চল সভাপতি ও বর্তমানে স্কুলের সভাপতি সুশান্ত দাস স্কুলছাত্রীকে ডেকে স্কুলে বসে মীমাংসার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন- চোপড়া,বন দপ্তরের উদ্যোগে এলাকায় চারা গাছ বিতরণ
বসাবসির শেষে মিলন মোড়ে স্কুল সভাপতি সুশান্ত দাস কে ঘিরে ধরে অভিভাবকরা অশ্লীল ভাষায় গালাগালি এবং মারতে উদ্যত হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে খবর দেওয়া হয় ঢোলাহাট থানায়।তড়িঘড়ি প্রশাসন সেখানে উপস্থিত হয়ে কোনরকমে অবস্থা সামাল দেন। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা তাদের মেয়েরা ওড়না মাথা দিয়ে স্কুলে গেলে নানা রকম কটুক্তি করে স্কুলের শিক্ষকা ।তাই তাদের মেয়েরা স্কুলে যেতে চাইছে না ভয়ে।এরই প্রতিবাদে সভাপতি কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।
তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বললে তুনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন স্কুলের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম রয়েছে কেবল মাত্র সেই ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসার জন্য তিনি বলেছেন কোন রকম অশ্লীল গালাগাল বা কটূক্তি করেন নি। ওই ছাত্রীর সঙ্গে অন্যান্য ছাত্রীরাও স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ আনে। তবে ইতিমধ্যে উভয়পক্ষ থানার দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।