স্কুল খুলতেই বের হল অগুনতি সাপের বাচ্চা, গ্রামবাসী পিটিয়ে মারতেই ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা। স্কুল চলাকালীন সময়ে, পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে বেরিয়ে আসে প্রায় ১৪/১৫ টি সাপের বাচ্চা। নিজেদের বাচ্চাদের বাঁচাতে গ্রামবাসীরা পিটিয়ে মারল ওই সাপের বাচ্চাদের। ঘটনাটি ঘটেছে, রায়গঞ্জ থানার ১১ নম্বর বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূপালপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। সূত্র মারফত জানা গেছে, প্রতি শনিবার এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে সকালে স্কুল বসে। স্কুলটিতে ৮৫ জন পড়ুয়ার জন্য ৪ জন শিক্ষিকা এবং ২ জন মিড ডে মিলের রাঁধুনি রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আশারুল হোসেন বলেন, ‘এদিন স্কুল খুলতেই দেখা যায় অসংখ্য সাপ পরিত্যক্ত ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছে। এই গোমা সাপের বাচ্চা গুলো পড়ুয়াদের কাটলে ভীষণ ক্ষতি হতে পারত। তাই সকল গ্রামবাসী একত্রে প্রায় ১৪/১৫ টি সাপের বাচ্চা পিটিয়ে মেরে ফেলেছি।’ গ্রামবাসীদের দাবি, যতক্ষণ না ওই পরিত্যক্ত ঘরটি থেকে সবকটি সাপের বাচ্চা বের করে, ঘরটি পরিস্কার করা হচ্ছে, ততক্ষণ স্কুলের দরজা খুলতে দেব না। গ্রামের আরেক বাসিন্দা, বাবর আলি বলেন, আমরা জানি সাপ মারা আইনত নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন- স্কুল খুলতেই বের হল অগুনতি সাপের বাচ্চা, গ্রামবাসী পিটিয়ে মারতেই ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা
কিন্তু নিজেদের সন্তানদের স্বার্থে সাপগুলো মারতে বাধ্য হয়েছি। স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা অনিতা দাস সেন বলেন, ওই ঘরটিকে ভেঙে ফেলতে পারলে সমস্যার কিছুটা সুরাহা হত। সেটা সম্ভব নয় বলে, ঘরটিকে পরিস্কার করার জন্য বহুবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি। সাপ পিটিয়ে মারার ঘটনার নিন্দা করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রফিকুল আলম বলেন, ওই স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরটি ঈদের পরে খুব দ্রুত পরিস্কার করা হবে।
তবে সাপ পিটিয়ে মেরে ফেলা ঠিক হয়নি। এদিকে, উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর এ্যানিম্যালসের জেলা সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, সাপ পিটিয়ে মেরে ফেলা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা খোঁজ নেব। প্রয়োজনে ওখানে গিয়ে সাপ গুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে ওদের বসবাসের উপযুক্ত জায়গায় ছেড়ে দিয়ে আসব।