একটি ছোট্ট ‘ভুল’ই বিপদের মুখে ফেলে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে! যত দিন যাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তত জোড়ালো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে যা কিনা বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি পেশ করেছে। আর সেই রিপোর্ট এমন কিছু তথ্য সামনে এসেছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ ওয়াকিবহাল মহলের।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পাননি অনেকে। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অনেকেই নিয়োগ পত্র পেয়েছেন। তাই যাতে আসল সত্য সামনে না আসে তার জন্য নাকি ওএমআর শিট নাকি নষ্ট করে দেন SSC-র কর্মকর্তারা।
এসএসসির নিয়োগ ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হলে হাই কোর্টের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যার জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো প্যানেল। এমনটাই দাবি রিপোর্টের আবার অন্যদিকে যখন চাকরি না পাওয়ায় আরটিআই এর দারস্থ হন এক পরীক্ষার্থী তাকে আসল প্যানেলই দেখানো হয়। আর সেখানেই সন্দেহ শুরু। আর এসএসসির এই ‘ভুল’ এর জন্যই একেরপর এক মামলা দায়ের হয় কমিশনের বিরুদ্ধে।
আর ও পড়ুন হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে আরো এক গ্রেপ্তার
এখানেই শেষ নয়। রিপোর্টে দাবি করা আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য হল অফিসারদের স্বাক্ষর ডিজিটালি জাল করে ব্যবহার করা। উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে এসএসসি-র কয়েকটি জোন রয়েছে। ওই জোনের চেয়ারম্যানরা সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর করে এসএসসি-র মূল অফিসে পাঠায় যার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু আঞ্চলিক অফিস থেকে সুপারিশ করা নাম বদলে যেত মূল অফিসে। আর যার অযোগ্য তাদের নিয়োগ পত্রে আঞ্চলিক অফিসারদের স্বাক্ষর ডিজিটালি জাল করে ব্যবহার করা হত।
উল্লেখ্য, এদিন যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে দুর্নীতি যে হয়েছে তা কার্যত স্পষ্ট। এমনকি নাম জড়িয়েছে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও।
উল্লেখ্য, একটি ছোট্ট ‘ভুল’ই বিপদের মুখে ফেলে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে! যত দিন যাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তত জোড়ালো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে যা কিনা বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি পেশ করেছে। আর সেই রিপোর্ট এমন কিছু তথ্য সামনে এসেছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ ওয়াকিবহাল মহলের।