স্ট্রংরুমে বন্দী ইভিএম!পাহাড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী- কি হবে বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের ফলাফল? বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে শনিবার। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণা হবে। কিন্তু আপাতত,ইভিএমে বন্দী আছে দুই এলাকার প্রার্থীদের ভাগ্য। আর ইভিএম বন্দী রয়েছে স্ট্রংরুমে।
সেই স্ট্রংরুমের পাহাড়ায় আবার আছে এক প্ল্যাটুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর,তারা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। মোট আটজন করে ডিউটি করছেন তিনটি শিফটে। তাই বোঝাই যাচ্ছে ঠিক কতটা কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে আছে এই স্ট্রংরুম। এছাড়া,তিনটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
এর মাধ্যমে খোদ নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের সব কর্তারাই নজরদারি করছেন। আবার প্রতি মূহুর্তেই জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও কড়া নজর রাখছেন বলে জানা গিয়েছে।এদিকে, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে একবার করে সেখানে গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাঠাতে হয় রাজ্য এবং কমিশনের কাছে। এছাড়া, যদি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বা তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট সেখানে যেতে চান তাহলে তারাও যেতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে ।
কমিশনের নিয়ম মেনে তাকে যথাযত ভাবে মানতে হবে সেই ক্ষেত্রে। তিনটি স্তরে যে নিরাপত্তা আছে তার মধ্যে প্রথম স্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই ব্যক্তিকে সার্চ করে তাঁর মোবাইল ফোন জমা রাখবেন। দ্বিতীয় স্তরে তাঁকে নিয়ে যাবেন দুজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং সবশেষে তিনি গিয়ে পৌঁছাতে পারবেন যেখানে রিটার্নিং অফিসার দরজার মধ্যে তালা মেরে তাতে সিল করে দিয়েছেন। সেখানে গিয়ে আগে থেকেই রাখা একটি খাতাতে ওই ব্যক্তিকে তাঁর মতামত অবশ্যই লিখতে হবে ও সেখান থেকে বেড়িয়ে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত,গণনার আগেই কেন্দ্রের দুশো মিটার বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই এই গণনা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে গেলেও মানতে হবে নিয়ম যা তৈরী করেছে নির্বাচন কমিশন।নিয়ম না মানলে কোনও ভাবেই গণনা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে মিলিয়ে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে বলেও সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর,প্রথম বলয়ে একেবারেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে। সেখানে রাজ্য পুলিশের কমব্যাট,কমাণ্ডো বাহিনী সহ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। আবার,দ্বিতীয় বলয়ে থাকবেন রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের কর্মীরা ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এবং রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকবেন। যারা ভিতরে প্রবেশ করবেন তাঁদের কাছে কেবলমাত্র সাদা কাগজ ও পেন ছাড়া কিছুই রাখা যাবে না বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের গণনা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে হবে তিরিশ মিনিট আগে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, মুখে মাস্ক পড়েই ভিতরে প্রবেশ করতে হবে, থাকবে স্যানিটাইজারও।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে অবসার্ভার ও রিটার্নিং অফিসার আটটার সময় স্ট্রংরুমে পৌঁছাবেন এবং সকলের উপস্থিতিতে স্ট্রংরুম খোলা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে বলে জানা গিয়েছে। এরপর মূল গণনা কেন্দ্রের পাশে একটা ঘর থাকবে যেখানে প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হবে। পাশাপাশি একসঙ্গেই মূল গণনা কেন্দ্রের ভিতরে একটা করে ইভিএম প্রতিটা টেবিলে দেওয়া হবে। সূত্রের খবরে এও জানা গিয়েছে যেঅন্য একটা ঘরে সবকটি টেবিলের গণনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাকে যোগ করা হবে। এরপর অবসার্ভার তাতে স্বাক্ষর করবেন।তারপর বাইরে প্রথমে মাইকে ঘোষণা করা হবে একসঙ্গেই কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।