স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় গাঁজর । শীতকালীন সবজি বলতেই প্রথমেই মাথায় আসে গাজরের কথা। তবে শুধু শীতকাল নয়, সব ঋতুর জন্যেই গাজর ‘সুপার ফুড’। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সমৃদ্ধ গাজর শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম হাতিয়ার। গাজরের তৈরি হালুয়া যেমন স্বাদের খেয়াল রাখে। তেমনই গাজরের উপকারী গুণ শরীরের বিভিন্ন সমস্যার চটজলদি সমাধান করে।
লিভার ভাল রাখতে
গাজরের রস লিভার ভাল রাখতে সক্ষম। গাজরে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান লিভারের কার্যকারিতা সচল ও স্বাভাবিক রাখে।
ক্যানসার প্রতিরোধে
গাজরে ফ্যালকারিনল নামক একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে। যা ক্যানসারের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে স্তন ক্যানসারেরর ঝুঁকি কমাতে গাজরের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক দিন গাজর খেলে মহিলাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৬০ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলির মেরামতেও গাজরের রস অপরিহার্য।
ডায়াবিটিস
ফাইবার ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজর ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। গাজর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য গাজর উপকারী একটি সবজি।
আর ও পড়ুন নবদম্পতিকে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
উল্লেখ্য, গাঁজর শরীরের জন্য কতটা উপকারি নতুন করে তা নতুন করে বলার দরকার নেই । গাজর দিয়ে নানা তরকারি এবং হালুয়া বানানো হয় ।গাজরে জলের পরিমাণ থাকে ৮৮ শতাংশ, প্রোটিন ০.৯ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৯.৬ গ্রাম, সুগার ৪.৭ গ্রাম,ফাইবার ২.৮ গ্রাম এবং ফ্য়াট থাকে ০.২ গ্রাম থাকে। ।ছোট থেকে মাঝারি মাপের গাঁজর, যার মোট ওজন ১০০ গ্রামের মতো হবে, তার থেকে পাওয়া যায়. ৪১ ক্যালোরি।
গাঁজরে জল ও কার্বোহাইড্রেট, আর এই কার্বোহাইড্রেটে স্টার্চ, সুক্রোজ ও গ্লুকোজ জাতীয় সুগার থাকে। তা শরীরের জন্য উপকারি । গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম হোয়ায় ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন গাঁজর। যা সুগার ও স্টার্চজাতীয় খাবার ধীর গতিতে হজম করিয়ে ব্লাড সুগার কমাতে সাহাজ্য করে।গাজরের রস শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দুটোই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এতে। এই রস খেলে চোখ ভাল থাকে। শুধু তাই নয়, ত্বকের পক্ষেও দারুণ ভাল।