স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের মারধর করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের মারধর করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের মারধর করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা রায়গঞ্জের ভট্টদিঘী গ্রামে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজে তল্লাশি অভিযানে পুলিশ। মৃতার নাম পারুল খাতুন(২৯)। মৃতার বাপের বাড়ির তরফের অভিযোগ তার স্বামী গফুর মহম্মদ বিয়ের পর থেকেই পারুলের উপর শারিরীক নির্যাতন চালাতো।

 

শুধু স্বামীই নয়, তার শাশুড়ি সহ শ্বশুর বাড়ির সবাই তাকে মারধোর করত বলে অভিযোগ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে এই অত্যাচার চলত বলে দাবী। তাদের একটি দশ বছরের ও আরেকটি ৫ বছরের সন্তান থাকলেও সেই অত্যাচার বন্ধ হয়নি বলে দাবী। এদিকে শনিবার সকালে রায়গঞ্জের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভট্টদিঘী গ্রামের ইঁটভাটা সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি থেকে প্রায় এক’শ মিটার দুরত্বেই একটি বাঁশ ঝাড়ের পাশে পারুলের মৃতদেহ আগলে তার স্বামীকে বসে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

 

অভিযোগ, পারুলের স্বামী গফুর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাশ ঝাড়ে ফাসিতে ঝুলিয়ে টেনে হিঁচড়ে মৃতদেহ রাস্তার পাশে নিয়ে বসেছিল। অন্যান্নরা তা দেখতে পেয়ে জড়ো হয়, আর খবর পেয়ে মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা শনিবার দুপুরে সেখানে হাজির হতেই বেধে যায় তুমুল উত্তেজনা। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ তুলে পারুলের স্বামী গফুরকে প্রকাশ্যেই মারধর চলে। এমনকি গফুরের বাড়ি গিয়েও তাকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে মৃতদেহ আটকে রেখে সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা।

আরও পড়ুন- জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার শুমারির প্রথম দিন নির্বিগ্নেই সম্পন্ন

এতে উত্তেজনা চরমে উঠলে বেশ খানিক্ষন বাদে রায়গঞ্জ থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত গফুর সহ তার পরিবারের লোকেরা পলাতক বলে দাবী। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের মারধরেই তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলে দাবী। এদিকে পুলিশ গ্রাম বাসী ও মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ দায়ের করে, পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেলের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পেছনে আসল কি রহস্য আছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরুর পাশাপাশি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top