স্ত্রীর সঙ্গে পালানো বন্ধুকে খুনের অভিযোগ, হাওড়ায় রক্তাক্ত রাতের চাঞ্চল্য

স্ত্রীর সঙ্গে পালানো বন্ধুকে খুনের অভিযোগ, হাওড়ায় রক্তাক্ত রাতের চাঞ্চল্য

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



হাওড়া – বন্ধুর হাতে খুন হলেন এক ব্যক্তি—ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে মধ্য হাওড়ার গণেশ মাঝি লেনে। অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া বন্ধুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে বিকাশ চৌধুরী ওরফে মনু নামের এক ব্যক্তি। মৃতের নাম রবি প্রসাদ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিকাশকে ধারালো অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মধ্য হাওড়ার এক বহুতলে থাকতেন বিকাশ। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে তিনতলা বাড়ির ছাদে মদের আসর বসান। সেই আসরেই নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল রবি প্রসাদকেও। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো শত্রুতার প্রসঙ্গ ওঠে, এবং তর্কাতর্কি গড়ায় মারাত্মক পরিণতিতে। অভিযোগ, আচমকাই বিকাশ চপার হাতে নিয়ে রবিকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় রবি দৌড়ে পালাতে গিয়ে সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতের নীরবতা ভেঙে আচমকা চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। মামণি গায়েন নামে এক প্রতিবেশী বলেন, “হঠাৎ বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে দেখি তিনজন দৌড়ে পালাচ্ছে। এখানে প্রায় প্রতিদিনই মদের আসর বসে, তাই প্রথমে আমরা গুরুত্ব দিইনি।”

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় শিবপুর থানার পুলিশ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, প্রায় ৯-১০ মাস আগে বিকাশের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন রবি। পরে স্ত্রী ফিরে এলেও সেই অপমান ভুলতে পারেননি বিকাশ। বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী বাপেরবাড়ি থাকায়, সুযোগ বুঝে তিনি মদের আসরের আয়োজন করেন এবং রবিকে ডেকে আনেন। তারপরই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।

ঘটনার পর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য। পুলিশ ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে ও আশেপাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্তকারীদের অনুমান, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিশোধই এই খুনের মূল কারণ। বিকাশও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।

তবে পুলিশ এখনও খতিয়ে দেখছে, এই খুনের পেছনে অন্য কেউ যুক্ত ছিল কি না বা অন্য কোনও উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে কি না। আপাতত গোটা এলাকায় টানটান উত্তেজনা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top