দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ পণ্য পরিবহন। ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহনে পণ্যের ওজন বিভ্রাটের তরজায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ পণ্য পরিবহন। দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখল ট্রাক মালিকরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন সংগঠনের অভিযোগ তারা ভারতের ওজন কাটায় পণ্য মেপে বাংলাদেশে সঠিক ওজনের পণ্য নিয়ে গেলেও বাংলাদেশের ওজন কাটায় ঐ পরিবহিত পণ্যের ওজন ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে কারনে ভারতের রপ্তানী ব্যবসায়ীরা তাদের গাড়ি ভাড়ার টাকা থেকে ঘাটতি পণ্যের টাকা কেটে নিচ্ছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ট্রাক মালিকদের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক চঞ্চল সাহা-র অভিযোগ করে বলেন বাংলাদেশে আমাদের ড্রাইভারদের ওজন দেখানো হয় না, ড্রাইভাররা ওজন দেখতে চাইলে সেখানে তাদেরকে ভয় দেখানো হয়। এবং বাংলাদেশের ওজন কাটায় তাদের পরিবাহিত হওয়ার পণ্যের ওজন ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পরিবহিত পণ্যের ওজনের ঘাটতি হওয়ার কারনে আমাদের গাড়ি ভাড়া থেকে ঘাটতি পণ্যের মূল্য কেটে নিচ্ছে ভারতের রপ্তানি ব্যবসায়ীরা।
ট্রাক মালিকরা পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখায় ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা করছে আমদানি- রপ্তানি ব্যাবসায়িক সংগঠন হিলি এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট এসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী-র পাল্টা বক্তব্য ভারতের অনেক গাড়িগুলির চালকরা দীর্ঘদিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ৫ কুইন্টাল-৭ কুইন্টাল মাল বিক্রি করে দেয়, মাল বিক্রি করে দিয়ে তার পরিবর্তে পাথর বা জলের ড্রাম নিয়ে গিয়ে ওজনের ঘাটতি পূরণ করছে।
তবে তিনি বলেন বাংলাদেশের ওজন কাটায় বেশী ওজনের গাড়ির পণ্য মাপবার কারনে ওজন কাটায় অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়। তিনি বলেন সমস্যাটা আলোচনার মাধ্যমে আমরা মেটানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন অন্যায়ভাবে হরতাল করায় আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জানা গেছে ওজন বিভ্রাটের এই সমস্যা বছর খানেক ধরেই চলছে।
আর ও পড়ুন এবার নেপালে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন মমতা, কী করবেন তিনি?
জানা গেছে কিছুদিন পূর্বে এই সমস্যার কথা জানিয়ে হিলি এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট কাস্টম ক্লিয়ারিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন। এবং যার পরে হিলি এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট কাস্টম ক্লিয়ারিং এজেন্ট এসোসিয়েশন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে হেল্পার বা চালকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ওজন কাটা দেখবার প্রস্তাব দেয় বা প্রতিনিধি আকারে বাংলাদেশে গিয়ে ওজন কাটা দেখবার প্রস্তাব দেয়।
যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চিঠি মারফৎ সাফ জানিয়ে দেয় যে তারা ভারতের ওজন কাটাতেই পণ্যের ওজন ভারতের ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে দেবেন অন্যথায় তারা ৫-ই ডিসেম্বর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখবেন। যার পরে রবিবার থেকে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখেন ট্রাক মালিকরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে।