স্পর্শ প্রকল্পের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ জেলা পুলিশের। মঙ্গলবার কালী পূজা উপলক্ষে বীরভূমের সিউড়ি থানার উদ্যোগে দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে কম্বল প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হলো। এদিন কম্বল গ্রহনকারী অধিকাংশই অতিথি প্রবীণ মানুষজন। এদিন কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে নাবালিকা বিবাহ রোধে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিউড়ি থানার আই.সি. মহম্মদ আলী অতিথিদের উদ্দেশ্যে বললেন, কি ভাবে নাবালিকা বিয়ে রোধ করা যায়।
কোথাও যদি নাবালিকা বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তৎক্ষণাৎ তা যেন পুলিশের গোচরে আনা হয় বলে আবেদন রাখেন। পাশাপাশি উপস্থিত সকলে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে তারা যেন পড়শীদের কেও নাবালিকা বিবাহ রোধে সচেতন করার আহবান জানান। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী আঠারো বছর পূর্ণ না হলে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি আঠারো বছরের নিচে কোন মেয়ের বিয়ে দেয় তাহলে সেটা আইনের চোখে অপরাধ।
তাই এই ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান পুলিশ আধিকারিক। কম্বল নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় এক মহিলা আলো কাহার জানায় , আমাদের আঠারো বছর হওয়ার আগে বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা চাইনা আমাদের মেয়েদের আঠারো বছরের আগে বিয়ে হোক। আলি বাবু আমাদেরকে ভালই বলেছেন। আমরাও গিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদের বলবো ওদের বাড়ির মেয়েদের জন্য আঠারো বছর পূর্ণ না হওয়া অব্দি বিয়ে না দেয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী, ডি.এস.পি.ডি.এন.টি. অয়ন সাধু, আই.সি. সিউড়ি মোহাম্মদ আলী, সিউড়ী পৌরসভার উপপৌরপিতা বিদ্যাসাগর সাউ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের হাতে কম্বল তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ এিপাঠী।
আরও পড়ুন – চোপড়ার শীতল গছে বন কালি পূজা উপলক্ষে জমে উঠেছে গানের আসর
অনুষ্ঠান শেষে পুলিশ সুপার বলেন, বীরভূম জেলা পুলিশের স্পর্শ নামক একটি প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো সারা বছর গরীব দুঃস্থ মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এমন বহু মানুষ রয়েছে যাদের পরিবার নেই, তাদের পাশে পুলিশ গিয়ে সেই স্বজনহারা ব্যাথা নিরসনের চেষ্টা করছে। স্পর্শ প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে বীরভূমের প্রচুর মানুষকে ইতিমধ্যে পুজোর আগে আমরা নতুন জামাকাপড় তুলে দিতে পেরেছি। এদিন সিউড়ী থানার পক্ষ থেকে দুশো পঞ্চাশ জন মানুষের হাতে শীতের কম্বল প্রদান করা হয়।