দেশ – ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চালু করেন স্বচ্ছ ভারত অভিযান। দেশজুড়ে শুরু হয় পরিচ্ছন্নতার এই আন্দোলন, যার লক্ষ্য শুধু দেশকে স্বচ্ছ করা নয়, বরং পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুনর্ব্যবহার করে আয়ও বৃদ্ধি করা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এ বছর অক্টোবরের ২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া স্বচ্ছতা অভিযানে মাত্র তিন সপ্তাহে সরকার আয় করেছে ৩৮৭ কোটি টাকা। তাঁর আশা, চার সপ্তাহের অভিযান শেষে এই অঙ্ক পৌঁছতে পারে ৮ থেকে ১০ হাজার কোটিতে।
এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া বার্তায় তিনি লেখেন, “অক্টোবরের ২ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে স্বচ্ছতা অভিযান। এখনও পর্যন্ত পুরনো জিনিস বিক্রি করে ৩৮৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে।” শুধু আয়ই নয়, সরকারি দফতরগুলিতে পুরনো জিনিস বিক্রির ফলে জায়গাও ফাঁকা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪৮ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে এই ধরনের অভিযান চালিয়ে মোট ৮৪৪.৪৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে, এবং সরকারের আয় হয়েছে ৩,৬৮৪ কোটি টাকা।
এ বছরের ‘বিশেষ স্বচ্ছতা অভিযান’-এ যোগ হচ্ছে নতুন উদ্যোগ — ‘ওয়েস্ট টু ওয়েলথ মিশন’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারগুলিকে এই মিশনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। জিতেন্দ্র সিং আগেও বলেছিলেন, স্বচ্ছতা অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া, যেখানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।



















