স্বপ্ন হলেও সত্যি। হারিয়ে যাওয়া নিজের বোনকে খুজে পেলো দাদারা। তাও আবার বছর দুয়েক পর। সৌজন্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগ।উত্তর ২৪পরগনার পলতাআটী গ্রামের বাসিন্দা মুবারক ও তাজামুলের একমাত্র বোন পাপিয়া খাতুন(২২)। বছর দুয়েক আগে হারিয়ে যায়।বহু খোঁজাখুজির পর বোনের কোন খোঁজ পায় নি দাদারা।
উত্তর ২৪পরগনার দেগঙ্গাঁ থানাতে নিখোঁজের অভিযোগ করেন তারা।ছোট থেকেই মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন পাপিয়া। তাই তাকে বাড়িতেই রাখা হত। তবে বছর তিনেক আগে মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা করাতে কলকাতা নিয়ে যাবার পথে হারিয়ে যায় পাপিয়া। কোনভাবে পাপিয়া চলে আসে মালদায়। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় নিজের বাড়ির ঠিকানাও সঠিকভাবে বলতে পারছিলেন না।তাই তার স্থান হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগের চিকিৎসক সহ দায়িত্বে থাকা নার্স কর্মীরা শুরু করে শুশ্রুষা। বছর দুয়েক ধরেই হাসপাতালের মানসিক বিভাগই হয়ে ওঠে তর ঘর বাড়ি। আর মানসিক বিভাগের চিকিৎসক ও নার্স কর্মীরা তার পরিবার পরিজন।কিছুদিন আগে স্মৃতি ফিরে পায় পাপিয়া। নিজের জেলার নাম বলে। এরপর মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ উত্তর ২৪পরগনার দেগঙ্গাঁ ব্লক দপ্তরে ওয়াটর্স অ্যাপের মাধ্যমে পাপিয়ার ছবি পাঠানো হয়।সেই ছবি গ্রামের এক সিভিল ভলেন্টিয়ারে মাধ্যমে পৌঁছে যায় পাপিয়ার দাদার কাছে।আজ সেই পাপিয়া তার পরিবার খুঁজে পেলো। মালদার জেলা শাসক কৌশিক ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্য সরকারী আধিকারিকেরা পাপিয়াকে তুলে দিল তার দাদার হাতে। মালদা মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগের চিকিৎসক থেকে নার্স কর্মীরা পাপিয়াকে চোখের জলে বিদায় দিলেন বুধবার। সুস্থ পরিষেবা পেলে মানসিক রুগীও সুস্থ হয় ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবনে এই ঘটনা তারই প্রমান করে।