হর ঘর তিরাঙ্গা কর্মসূচীর জের, স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে বালুরঘাটে রেকর্ড পরিমান বিক্রি ভারতের জাতীয় পতাকা। চাহিদার নিরিখে জাতীয় পতাকা সাপ্লাই দিতে হিমশিম খাওয়ার উপক্রম, বলছেন পতাকা বিক্রেতারা। উল্লেখ যে স্বাধীনতার অমৃতমহোৎসব উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে হর ঘর তিরাঙ্গা কর্মসূচী নেওয়ার পর থেকে ডাকঘর থেকে ২৫ টাকায় বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট মাপের ভারতীয় জাতীয় পতাকা। যদিও বালুরঘাটের পতাকা বিক্রেতাদের বিক্রিতে তাতে ভাটা তো পড়ে-ই নি উল্টে শহরের দোকানগুলিতে জাতীয় পতাকার বিক্রি বেড়েছে কোন দোকানে দ্বিগুন তো কোন দোকানে তিনগুন।
বালুরঘাট শহরের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র ডানলপ মোড় এলাকার পতাকা বিক্রেতা অভিজিৎ দত্ত-র বক্তব্য গতবারের তুলনায় পতাকার বাজার চাহিদা এবারে অনেক ভাল। তিনি জানান ২৮০ টাকা দরের বড় সাইজের পতাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা দরের মাঝারি এবং ১০০ টাকা দরের ছোট সাইজের পতাকা বর্তমানে দেদার বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে হর ঘর তিরাঙ্গা কর্মসূচীর জেরে চলতি বছরে ভারতের জাতীয় পতাকার বিক্রি বেশী। অপর এক পতাকা অমিত ঘোষ-এর বক্তব্য তারা অর্ডার দিয়ে যে পরিমাণ স্টক প্রথমে দোকানে তুলেছিলেন তার পরে তার আরও বার দুয়েক জাতীয় পতাকা অর্ডার দিয়ে ফের দোকানে জাতীয় পতাকা মজুত করেছিলেন তাও বিক্রি হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন – ২৬ টি প্রকল্প দ্রুত শেষ করার আশ্বাস উদয়ন গুহর
পাশাপাশি তিনি জানান জাতীয় পতাকার পাশাপাশি সমানতালে বিক্রি বেড়েছে জাতীয় পতাকার রঙে রঞ্জিত ব্যাচ, নাচের সামগ্রী, র্যালিতে ব্যবহ্রত সামগ্রীর। অমিত ঘোষ-এর বক্তব্য হর ঘর তিরাঙ্গা কর্মসূচীর জেরে এই বিক্রি বৃদ্ধি। পাশাপাশি উনার এও বক্তব্য স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সাধারণ মানুষদের উৎসাহ বৃদ্ধি এত বিপুল সংখ্যক ভারতের জাতীয় পতাকা বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারন।
বালুরঘাটে জাতীয় পতাকার রেকর্ড বিক্রি প্রসঙ্গে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান রেখেছেন সেই আহ্বান গোটা দেশের সর্বত্র পৌছে গেছে, বালুরঘাট-ও তার বাইরে নয়। সেই সাথে সবাই যাতে ১৩-ই আগস্ট থেকে ১৫-ই আগস্ট নিজের বাড়িতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগায় তার জন্য তিনিও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের আহ্বান জানান।