দেশ – ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা ভাষার প্রসঙ্গ তুলে জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তাঁর এই মন্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মোদী বলেন, “বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সব ভাষা নিয়েই আমাদের গর্ব হওয়া উচিত।” বৈচিত্র্য ও একতার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি মহাকুম্ভের প্রসঙ্গ তোলেন এবং বলেন, ভারতের শক্তি তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। তিনি উল্লেখ করেন, মারাঠি, অহমিয়া, বাংলা, পালি ও প্রাকৃতকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা ভারতের জ্ঞানের উৎস। সব ভাষাকে সম্মান জানানো এবং তাদের থেকে শেখার মাধ্যমে জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ভাষা ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সরব, অভিযোগ করছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা ও বাংলা ভাষার অবমাননা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন এবং আরও বৃহত্তর আন্দোলনের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর “বাংলা কোনও ভাষা নয়” মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদীর মন্তব্যকে অনেকেই এই বিতর্ক প্রশমনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
