মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে উদ্যোগ মালদা জেলা প্রশাসনের। মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলিকে দিয়ে ধান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে মালদা জেলা প্রশাসন।প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি মহিলারা। আগামী দিন মহিলাদের আরো বেশি করে এই ধরনের কাজে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলা শাসক।
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এমন প্রবাদ বারে বারে সত্যি প্রমাণ করেছেন নারীরা। কর্মব্যস্ত দিনেও তাঁরা সামলান সংসার। কিন্তু মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সালেহা খাতুন, মমতা মণ্ডল, সুলতানা, শেফালীরা যেন আরও একধাপ এগিয়ে। মাঠে নেমে ধান কিনছেন তাঁরা। তা-ও আবার সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে। প্রতি কুইন্টাল ১৯৪০ টাকা। চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে প্রমীলা বাহিনী।
হরিশ্চন্দ্রপুরের রামপুর ফুটবল মাঠের এই দৃশ্য গ্রামবাংলার মহিলাদের অন্তত দিশা দেখাবে। এমনটাই মনে করছে জেলার তথ্যভিজ্ঞ মহল। আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে শুরুতেই একদিনে শিবির করে ১৭০ কুইন্টাল ধান কিনে নজির গড়ল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রমীলা দল। স্বনির্ভর দলের মহিলারাই ধান কেনার শিবির করছেন। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে এগোতে শুরু করল হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর পথের পাঁচালী নামে ওই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী।
আর ও পড়ুন নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালন, ময়দানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
মহেন্দ্রপুর পথের পাঁচালী সমবায় সোসাইটির চেয়ারপার্সন সালেহা খাতুন জানিয়েছেন, তাঁদের সোসাইটি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার অনুমতি পেয়েছে। খাদ্য দফতর থেকে তাঁদের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। নতুন করে খাদ্য দফতর যদি আরও বেশি পরিমাণ ধান কেনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয় তাহলে তাঁরা সেই কাজ চালিয়ে যাবেন। বহু কৃষক ধান দেওয়ার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এবার কৃষক বাজারে নই, তাঁরা সরাসরি রাইস মিলে ধান পাঠাবেন।
ওই এলাকার কৃষক আব্দুল সাত্তার জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর কৃষক বাজারে মার্চ মাসে ডেট পেয়েছিলেন ধান বিক্রি করার। খবর পেয়ে মহিলাদের কাছে এসে তিনি ধান বিক্রি করেন। এতে সুবিধা হলো তাদের। এই বিষয়ে মালদা জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র বলেছেন, মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলিকে দিয়ে সহায়ক মূল্য চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এরপরই জেলার মহিলারা উপকৃত হবেন। আগামী দিনে আরো বেশি করে যাতে মহিলাদের এই কাজে নিযুক্ত করা যায় সে বিষয়েও প্রশাসন নজর রাখছে বলে তিনি জানান।