নারীদের ওপর গার্হস্থ্য সহিংসতা ন্যায্য! -জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার জরিপে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

নারীদের ওপর গার্হস্থ্য সহিংসতা ন্যায্য! -জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার জরিপে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নারীদের ওপর গার্হস্থ্য সহিংসতা ন্যায্য! -জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার জরিপে চাঞ্চল্যকর তথ্য! স্ত্রী যদি সঠিকভাবে কাজ না করেন, তার দায়িত্ব পালন না করেন তবে স্বামীর দ্বারা খারাপ আচরণ যথাযথ- আর সে ক্ষেত্রে গার্হস্থ্য সহিংসতা অর্থাৎ নারীর ওপর অত্যাচার ন্যায্য!সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় অর্ধেক ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা পারিবারিক সহিংসতাকে ঠিক বলে মনে করেন।সম্প্রতি,ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস তথ্য অনুযায়ী, কর্নাটকের সিংহভাগ মহিলা এবং পুরুষ বিশ্বাস করেন যে শারীরিকভাবে অত্যাচার করা তখনই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে যখন তারা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করবে না। এমনকি এই ধরনের মতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন কর্ণাটকের প্রায় ৭৬.৯ শতাংশ মহিলা এবং ৮১.৯ শতাংশ পুরুষ।

 

পাশাপাশি সারাদেশের নিরিখে এই ধারণার সঙ্গে একমত হয়েছেন ৪৫ শতাংশ মহিলা এবং ৪৪ শতাংশ পুরুষ।তবে শুধু এখানেই বিষয়টি থেমে থাকেনি জানা গিয়েছে,একজন স্ত্রী যদি স্বামীর সাথে যৌন মিলন প্রত্যাখ্যান করেন সেক্ষেত্রে তিনি শারীরিক নির্যাতনের যোগ্য -এই মতের সঙ্গে সহমত পোষণ পোষণ করেছেন প্রায় ১১ শতাংশ মহিলা উত্তরদাতা এবং ৯.৭ শতাংশ পুরুষ উত্তরদাতা। এছাড়াও, সহিংসতার ক্ষেত্রে বেশিরভাগই মনে করেন শ্বশুরবাড়ির অসম্মান একটি প্রাথমিক কারণ। স্বামীর সঙ্গে তর্ক করলে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে সহমত পোষণ করেছেন ২২ শতাংশ মহিলা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ।এছাড়া, সমীক্ষা বলছে, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরাঞ্চলের অনেক অংশে কম উত্তরদাতারা শারীরিক আক্রমণকে সমর্থন করেছেন। এছাড়াও, উত্তরগুলি শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর অনেকাংশে নির্ভর করেছে।

আর ও পড়ুন    আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী

সূত্রের খবর, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ভারতে গার্হস্থ্য সহিংসতার মামলা রিপোর্ট করা হয়েছে প্রায় ৩,৫৮২ টি। সেন্টার ফর সোশ্যাল রিচার্জ রঞ্জনা কুমারী এই বিষয়ে বলেছেন ,” এই সমীক্ষা খুব সহজে প্রমাণিত করে দেয় যে সমাজে নারীদের উপর অত্যাচার করাটা কতটা স্বাভাবিক।” তবে, তিনি এই ধরণের ফলাফলের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ, তার মতে,সমীক্ষায় যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে তা শুধুমাত্র প্রশ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে গিয়েছে। এবার সেই প্রশ্নের তালিকায় ছিল আদৌ মহিলারা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সম্পর্কে জানেন কিনা, তারা মারধোর করতে পছন্দ করেন কি না , এছাড়াও তারা কি আদৌ জানেন যে তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে প্রভৃতি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top