স্যালাইন দিয়ে সিপিএমকে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে, বললেন দিলীপ ঘোষ । তবে ‘অক্সিজেন, স্যালাইন দিয়ে সিপিএম-কে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না’ কলকাতা পুর নিগমের ভোটে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বলে এদিন দিলীপ ঘোষ দাবি করেন। কলকাতা পুর নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে টেনে এদিন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সব জায়গাতে আর কলকাতার মতো ভোট হবে না। কলকাতা এবং তার আশেপাশের এলাকায় আমাদের সংগঠন খুব দুর্বল। বিধানসভা এবং লোকসভাতেও আমরা ভালো ফল করতে পারিনি। জেলাতে আমরা ভালো লড়াই দেবো।
তৃণমূলের কারচুপির জন্য যে পুরভোটে বিজেপির ভোটে কোপ পড়েছে, এমন ব্যাখ্যাই শোনা যাচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বের গলায়। ভোটের দিন থেকেই এই ইস্যুতে সরব হয়েছিল বিজেপি। তবে বামেদের থেকেও ভোট শতাংশের বিচারে কেন পিছিয়ে পড়ল গেরুয়া শিবির, সেই প্রশ্নের জবাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অক্সিজেন, স্যালাইন দিয়ে সিপিএম-কে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। মানুষ যাকে প্রত্যাখ্যা করেছে তাকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’ দিলীপ ঘোষ বলেন, দলের রদবদলের সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।
বিজেপি পরিবর্তন হয়। নতুন মুখ অনেক উঠে আসে। বাকি রাজনৈতিক দলগুলিতে নতুন মুখ কোথায় আছে? বিজেপিতে নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়া হয়। পুরনোদের অভিজ্ঞতা দেখে নতুন কাজ দেওয়া হয়। আমাদের ২ শতাংশ ভোট কমেছে। হিসাব মতো ২ লাখ ভোট কমেছে। এখানে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট হয়েছে পুর নির্বাচনে। কখনও এরম হয় শুনেছেন? ভোটের ফলাফল আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। কোন দলকে কত ভোট দেওয়া হবে, তা আগেই বলে দেওয়া ছিল।
আর ও পড়ুন নতুন বছরে আসছে আরও এক প্রাণঘাতী ভাইরাস! ভবিষ্যৎবাণী বাবা ভাঙ্গার
১০টা তৃণমূলে আর ২টো সিপিএমে, এভাবেই ভোট হয়েছে। প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। হাওড়া আর বিধাননগরে সেভাবেই ভোট করার চেষ্টা হবে। ভোটের পরে যেভাবে অত্যাচার হয়েছে গোটা পৃথিবীতে কোথাও হয়নি। তবে এটা ঠিক যে আমাদের কর্মীদের উপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তারা একটু নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। ঠিক সময়ে তাঁরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবেন।
বিজেপিকেই শুধু টার্গেট করা হচ্ছে। স্যালাইন দিয়ে সিপিএমকে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উপর কোনওমতেই ভরসা করা যায় না। সিপিএমের অত্যাচার থেকে মানুষ যদি মুক্তি পায়। তাহলে এই অত্যাচার থেকেও মানুষ মুক্তি পাবে। তবে সব জায়গায় কলকাতার মতো ভোট হবে না। বাইরের থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট দেওয়ানো হচ্ছে। জেলাতে আমরা লড়াই দেবো। মানতে অসুবিধা নেই যে কলকাতা আর তার আশেপাশের এলাকায় আমাদের সংগঠন দুর্বল ছিল। ফলে আমরা সাফল্য সেভাবে পাইনি। সবাই জানত তৃণমূল এখানে ১০০-র বেশি আসন পাবে। তার পরেও এমন ভোট করল কারণ, তারা মেসেজ দিল বাংলায় এভাবেই ভোট হবে। বাকি পুরসভা গুলির জন্য তারা একটি নমুন দেখাল।