১৯ নভেম্বর, প্রতিটি হিন্দুরাই পরম ভক্ত হনুমানের। তাঁদের দেবতা প্রধান হলেন রাম ভক্ত হনুমান। প্রতি মঙ্গলবার তাঁর জন্মবারে বিভিন্ন হনুমান মন্দিরে ভির জমে যায় ভক্তদের। এখন হনুমান জয়ন্তীও দীপাবলি বা হোলির মতোই অন্যতম বার্ষিক পুজোর মধ্যে একটি। কিন্তু হনুমান মন্দিরের সামনে চলমান ট্রেনের গতি বিনা কারনেই কমে যায় কখনও শুনেছেন। এই ঘটনাই ঘটছে মধ্য প্রদেশের শাজাপুর জেলার বোলাই গ্রামের ৬০০ বছরের পুরনো শ্রী সিদ্ধবীর খেড়াপতি হনুমান মন্দিরে।
মন্দিরের পুরোহিত এবং গ্রামবাসীদের কথায়, ওই মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিটি ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালকরা। কিন্তু চালকেরা তাঁদের বলেন, তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে গতি কমান না। কোনও অদৃশ্য কণ্ঠ তাঁদের ট্রেনের গতি কমাতে আদেশ দেয় আর তা শুনেই ট্রেনের গতি কমিয়ে ফেলে তাঁরা। গ্রামবাসীদের বহু দিনের বিশ্বাস, সেই আদেশ মেনে গতি না কমালে ট্রেন দুর্ঘটনা অনিবার্য। কিছু বছর আগে এরমই এক মালগাড়ির চালক গতি না কমালে কিছুক্ষনের মধ্যেই শোনা যায় দুটি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের কথা। নিজেদের বিশ্বাসের প্রামাণিক তথ্য দিতে এমনই কথা বলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই মালগাড়ি দুটির চালকই নাকি এ কথা স্বীকার করেছিলেন, মন্দিরের সামনে ট্রেন আসার পরই তাঁরা অদৃশ্য কণ্ঠে গতি কমানোর আদেশ শুনেছিলেন। কিন্তু তা অমান্য করার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকেই ৬০০ বছর ধরে ওই জায়গা দিয়ে পাশ করা সমস্ত ট্রেন তাদের গতি কমিয়ে দেয়।
মন্দিরে হনুমানের বিগ্রহের বাঁ পাশে রয়েছে হনুমানের অন্যতম প্রিয় বন্ধু শিবপুত্র গণেশের মূর্তি।গ্রামবাসীরা কখনই তাঁদের আলাদা করে না। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, এইভাবে দুটি মূর্তি পাশাপাশি থাকলে তাঁদের গ্রাম পবিত্র এবং সুন্দর থাকবে। তাঁদের আরও বিশ্বাস, শ্রী সিদ্ধবীর খেড়াপতির বিগ্রহ দর্শনার্থীর মনোস্কামনা পূরণ করে এবং ভবিষ্যতও বলে দেয়।