দিল্লি -হরিয়ানার আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ কুমারের (Y Puran Kumar) মৃত্যুর ঘটনায় হরিয়ানার দুই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হরিয়ানার ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ শত্রুজিৎ সিং কাপুর (DGP Shatrujeet Singh Kapur) এবং রোহতক সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ নরেন্দ্র বিজারনিয়ার (SP Narendra Bijarniya) বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার (abetment to suicide) অভিযোগ আনা হয়েছে। চণ্ডীগড়ের এসএসপি জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর প্রাসঙ্গিক ধারায় এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন ১৯৮৯-এর ৩(১)(r) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১ থানায়।
এই ঘটনার এক দিন আগে, আইএএস অফিসার অনমিত পি কুমার, যিনি পূরণের স্ত্রী, BNS-এর ১০৮ ধারায় মামলা দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার, এডিজিপি পূরণ কুমার নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে আত্মঘাতী হন। তাঁর বাড়ি থেকে একটি উইল এবং নয় পাতার আত্মহত্যার চিঠি উদ্ধার হয়। চিঠিতে তিনি কাজ সংক্রান্ত অসন্তোষ, মানসিক চাপ এবং দীর্ঘদিনের পেশাগত হয়রানি ও ব্যক্তিগত অপমানের কথা উল্লেখ করেছেন।
২০০১ ব্যাচের আইএএস অফিসার অনমিত পি কুমার অভিযোগ করেছেন, “আমি একদিকে শোকাহত স্ত্রী হিসেবে, অন্যদিকে দায়িত্বশীল সরকারি আধিকারিক হিসেবে এই মামলা করছি।” তাঁর দাবি, দীর্ঘদিনের পেশাগত হয়রানি, জাতিগত বৈষম্য এবং ব্যক্তিগত অপমানই পূরণ কুমারকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আত্মহত্যার নোটে উল্লেখ ছিল, ডিজিপি শত্রুজিৎ সিং কাপুর ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে বকেয়া ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছিলেন, যার ফলে ২০০১ ব্যাচের সমস্ত আইপিএস অফিসার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আত্মহত্যার পর হরিয়ানা সরকার ডিজিপি কাপুরকে ছুটিতে পাঠানোর কথা ভাবছে। রোহতক এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়াকেও বদলির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ডিজিপির দফতর এখনো সরকারি প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, “আইন অনুযায়ী সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।”
ওয়াই পূরণ কুমার ২০০১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার হিসেবে হরিয়ানা পুলিশের একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর মৃত্যু প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সূত্রের খবর, ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুরের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস ওপি সিং, বর্তমানে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর ডিজি পদে কর্মরত। এছাড়াও নাম উঠেছে অলোক মিত্তলের, ১৯৯৩ ব্যাচের আইপিএস, বর্তমানে স্টেট ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর এডিজিপি পদে কর্মরত।
