হরিরামপুরের ঘটনায় পুলিশকে তোপ সুকান্ত-র, খোল-কর্তাল বাজিয়ে থানা অভিমুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

হরিরামপুরের ঘটনায় পুলিশকে তোপ সুকান্ত-র, খোল-কর্তাল বাজিয়ে থানা অভিমুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

হরিরামপুরের ঘটনায় পুলিশকে তোপ সুকান্ত-র, খোল-কর্তাল বাজিয়ে থানা অভিমুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিশ হাতে চুড়ি পড়ে বসে থাকুক, দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশকে বেনজির আক্রমণ করে মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-এর। উল্লেখ যে শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের রামকৃষ্ণ আশ্রম সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক টোটো মেকানিকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

 

যার পরে বেশ কিছু মানুষ তোফাজ্জল হোসেন-এর মৃতদেহ রাস্তার উপরে রেখে হরিরামপুরের একাধিক দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়, মহিলাদের মারধোর করে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে দুস্কৃতিদের এই তান্ডব। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-এর কাছে পৌছাতেই তিনি তার ট্রেনের টিকিট বাতিল করে গাড়িতে চেপে সড়ক পথেই দক্ষিণ দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং রবিবার তিনি বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরুপ চৌধুরী, বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু ও সত্যেন্দ্রনাথ রায়-কে সাথে নিয়ে হরিরামপুরে যান।

 

এদিন তিনি প্রথমে হরিরামপুরের রাধা গোবিন্দ মন্দিরে গিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভিযোগ শোনেন। তারপরে তিনি দলীয় নেতৃত্ব সাথে মন্দির চত্বরেই খোল করতাল বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তন করতে করতে পায়ে হেটে হরিরামপুর থানা অভিমুখে রওনা হন। মাঝে ভাঙচুর হওয়া একাধিক দোকানদারের সাথে কথাও বলেন এবং সর্বত তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন প্রচুর সাধারণ মানুষ সুকান্ত মজুমদার-এর সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন এবং তাদেরও অনেকে সুকান্ত মজুমদার-এর সঙ্গে হরিরামপুর থানা অভিমুখে যাত্রায় সামিল হন।

আরও পড়ুন – হাকিমপুর সীমান্ত থেকে দুই দালালসহ দশ বাংলাদেশি আটক

এরপর হরিরামপুর থানার সামনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি সুকান্ত মজুমদার ঘটনায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে একের পর এক তোপ দাগেন। তিনি বলেন পরিস্থিতি অত্যন্ত চিন্তাজনক, একটি খুনকে কেন্দ্র করে প্রশাসন হাতে হাত রেখে চুপ করে বসেছিল, প্রশাসন হাতে চুড়ি পড়ে বসে থাকুক। তার অভিযোগ ৬ ঘন্টা পরে পুলিশ পৌছেছিল। এমনকি তিনি এও অভিযোগ করে বলেন পুলিশি নিস্ক্রিয়তা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের এখানকার নেতা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে।

 

সেই সাথে এদিন তিনি হরিরামপুর থানার আইসির সাসপেনশনের দাবীও তোলেন। অপরদিকে হরিরামপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশের কাজে বাধাদানকারী এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতিসাধনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি এও জানিয়েছেন খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top