হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে ভেজাল হলুদের কারবার। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে ভেজাল হলুদের কারবার।সেই হলুদ বিক্রি হচ্ছে হাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানে।রান্নায় ব্যবহার করছে এলাকার বহু মানুষ। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে কি ভাবে চলছে এই কারবার উঠছে প্রশ্ন?
ভেজাল হলুদ কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের।সঠিক উপায়ে নিয়ম মেনে প্রস্তুত করা হচ্ছে না সেই হলুদ। ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং রং। এলাকারই হাটে,বাজারে এবং বিভিন্ন দোকানে রমরমিয়ে আবার বিক্রি হচ্ছে সেই হলুদ।
এই ভেজাল হলুদ দেওয়া খাওয়ার খেলে পেটের অসুখ, লিভার জনিত সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি পর্যন্ত হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের। এই ভাবে এলাকা জুড়ে রমরমিয়ে ভেজাল হলুদের ব্যবসা চলার পরেও প্রশাসন কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না উঠছে প্রশ্ন? কারণ এর আগেও হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ভেজাল হলুদের কারবার নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল। তারপর বন্ধ হলেও ফের শুরু হয়ে গেছে এই কারবার। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় এই কারবার চলছে তা কার্যত মেনে নিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক এবং চিকিৎসকরা। সে ক্ষেত্রে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন?
আরও পড়ুন – পুজোর আগে সেভাবে জমলো না বাম কর্মচারীদের নবান্ন অভিযান
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসা চলছে।মাঝে বন্ধ হয়েছিল আবার শুরু হয়েছে।গরিব মধ্যবিত্ত মানুষরা বেশি এই হলুদ কিনছে। চাইবো প্রশাসন এই ব্যবসা বন্ধ করুক।
চাঁচল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক ডক্টর রাহুল কুমার মন্ডল বলেন, এই ধরনের হলুদের ব্যবসার কথা শুনেছি। যেসব জায়গায় অস্বাস্থ্যকর ভাবে রাসায়নিক জিনিস মিশিয়ে খাদ্য বা অন্য কিছু প্রস্তুত হচ্ছে আমরা সেখানে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আমরা যৌথ অভিযান চালাবো।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর ছোটোন মন্ডল বলেন, আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি তবে শুনেছি এই কারবারের কথা। ভেজাল হলুদ খেলে মানুষের পেটের রোগ লিভারের অসুখ থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এই ব্যবসা বন্ধ হওয়া অবশ্যই উচিত। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা