পুজোয় কলকাতায় মিলছে হরেক রকমের বাংলাদেশী খাবারের পদ । এবার কলকাতার দুর্গা পুজোয় মিলছে রকমারি স্বাদের বাংলাদেশী খাবারের পদ। যারমধ্যে রয়েছে ৫২ রকমের বাংলাদেশী পদ। দুর্গাপুজো উপলক্ষে কলকাতাবাসীর জন্য দারুন সুখবর। পুজোর এই দিনগুলোতেকলকাতা শহরে থেকেই চাইলে যে কেউই স্বাদ নিতে পারবেন ওপার বাংলার সুস্বাদু সব খাবারের, তাও আবার খুবই সামান্য খরচে। দুর্গা পুজো উপলক্ষে এক বিশেষ ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকার এক নামকরা হোটেলে।
সেখানেই খোলা হয়েছে পুজা বুফে। এখানে সব মিলিয়ে মোট ৮০ রকমের খাবার পাওয়া যাবে, তার মধ্যে সম্পূর্ণ বাংলাদেশী খাবারের সংখ্যা হল ৫২ টি। এই পূজা বুফের দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী নয়না আফরোজ। তিনি জানান, এখানকার খাবারগুলো হবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের, যার মধ্যে রয়েছে চুইঝাল মাটন, কক্সবাজারের রূপচাঁদা ফিসকারি, মুরগী বিরিয়ানি ইত্যাদি। এছাড়াও ডেসার্টের মধ্যে রয়েছে বুটের ডালের হালুয়া, দুধ কদু। পাশাপাশি রয়েছে ডিম জর্দা, বিক্রমপুরের বেগুন খাসি, ঝিঙের কোর্মাও। তারমানে কলকাতা মহানগরবাসী সাধারণত যেসব খাবারের সঙ্গে একেবারেই পরিচিত নন বা খুব সামান্যই জানেন সেইসকল রকমারি খাবারই মিলবে এই পূজা বুফেতে।
বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পী নয়না আফরোজ জানান, পুজোর এই দিনগুলোতে কলকাতাবাসী যেন শহরে বসেই বাংলাদেশী খাবারের পূর্ণ স্বাদ পেতে পারেন, সেকথা মাথায় রেখেই খুব বাছাই করা খাবার রাখা হয়েছে এখানে। এছাড়াও যারা প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছেন তারা যদি দেশের খাবার মিস করেন, তাহলে এই রেস্তোরাঁতে এসেই সেই আক্ষেপ মিটিয়ে নিতে পারবেন তারাও।
আর ও পড়ুন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল খড়দহ গির্জা মোড়ে
তিনি বলেন, এই ৫২ রকমের পদের মধ্যে এখানে নয় রকমের ভর্তা আছে। কলকাতায় বসে পারফেক্ট ভর্তা খাওয়া হয়ে ওঠে না, তাই কলকাতায় বসেই বাংলাদেশী খাবারের স্বাদ যারা পেতে চাইছেন এবং ঘরের খাবার যারা মিস করছেন তাদের জন্য এটাই সুবর্ণ সুযোগ। উল্লেখ্য, গতকাল ১০অক্টোবর এই পূজা বুফের শুভ উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশে(কলকাতা) র ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ ই অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত খোলা থাকবে এই বুফে। এর বুফে প্রাইস ১২৪৯ রুপি। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড়ও থাকছে। কোভিড প্রটোকল মেনে এখানে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আসতে হবে প্রি-বুকিং করে। যারজন্য যোগাযোগ নম্বর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখিত খাবার গুলো ছাড়াও এখানে নিরামিষ ও আমিষের আরও বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যাবে।