ঘুম পাড়ানো গুলিতে খাঁচায় বন্দী হল বাঘিনী। বিগত দিনে পর্যটক থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষজন বাঘ দেখতে না পেয়ে এক প্রবাদ বাক্য চালু করেছিলেন ‘সাপের লেখা,আর বাঘের দেখা কপালে না থাকলে হয় না।২০১১ রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয়।আসে মা মাটি মানুষের সরকার।যার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আস্তে আস্তে শুরু সুন্দরবন জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার।তারপর থেকেই সুন্দরবনে পযটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে,আর একের পর এক পযটকের ক্যামেরায় বন্দী হতে থাকে বাঘ।
২০২২ এ শীতের মরশুমে কুলতলির মৈপীঠে বাঘের আক্রমণে দুই মৎস্যজীবী জখম হয়ে চিকিৎসাধীন।এমনকি কুলতলি তে বাঘ ঢুকে পড়লে বনকমীর্রা ঘুমের গুলি করে বাঘটিকে উদ্ধার করে ঢুলিভাসানির জঙ্গলে ছেড়ে ছেড়ে দেয়।তারপরই আবার জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে গোসাবার লাহিড়ীপুরের চরঘেরীতে ঢুকে পড়ে।আর বাঘটি জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে চারিদিকে নেট জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।আর এই নেট জাল দিয়ে ঘেরার সময় বাঘ হঠাৎই আক্রমণ করলে জখম হয় এক বনকমীর্রা।
চরঘেরী এলাকায় বাঘকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যখন ব্যস্ত বনকমীর্রা থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন তখনই শনিবার সন্ধ্যায় ঝিলা নদীতে সাঁতার কেটে আরও একটি ঢুকে পড়ে গোসাবার কুমীরমারি অঞ্চলের বাগনা অফিস পাড়া গ্রামে।আর বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।এমনকি তাদের নজরে পড়ে এলাকার বাসিন্দা হরিপদ মন্ডল ও নিতাই সরদারের কলাবাগানে বাঘটি ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে।গ্রামবাসীরা টর্চ লাইট আর লাঠি নিয়ে সতর্ক ভাবে নজর রাখতে শুরু করেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মীরা।রাতেই নেট জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে এলাকা।
এরপর বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানী গুলি চালিয়ে কাবু করেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কে।কাবু হতে জালদিয়ে জড়িয়ে তাকে খাঁচা বন্দী করা হয়।রাত দেড়টা নাগাদ জ্ঞান ফেরে বাঘের।বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এটি পূর্ণ বয়স্ক একটি বাঘিনী।আর বাঘিনী কে রাখা হয়েছে বাগনান ফরেস্ট ক্যাম্পে।চিকিৎসকরা বাঘিনীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।তবে বাঘিনী সুস্থ আছে এবং বাঘিনী কে পর্যবেক্ষনে রেখেছেন বন দফতরের কর্মীরা।চিকিৎসকরা বললেই বনকমীর্রা সুন্দরবনের কোন এক গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
আর ও পড়ুন কোভিডে আক্রান্ত হলেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম মহাতারকা লিওনেল মেসি
এদিকে লাহিড়ীপুর অঞ্চলের চরঘেরী এলাকায় এখনও পর্যন্ত বনকমীর্রা চেষ্টা করছে ঢুকে পড়া বাঘটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।এমনকি ঘুম পাড়ানো গুলি করা যায় কি না সে বিষয়ে ও খতিয়ে দেখছে বন দফতর।এদিকে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কি কারণে বাঘ ঘন ঘন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে।তাহলে কি বাঘের বাসস্থানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে,নাকি বাঘের খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়ে,নাকি জঙ্গলে চোরা শিকারীদের উৎপাত বাড়লো?
তবে প্রকৃতি কি কারণে বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে তার উপর গবেষণা দরকার বাঘ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এমনি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।বন দফতর জানান কুমিরমারির লোকালয়ে একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘিনী ঢুকে পড়লে তাকে ঘুম পাড়ানো গুলি করে খাঁচায় বন্দী করে বাগনান ফরেস্ট ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।বাঘিনীর ঞ্জান ফিরেছে।চিকিৎসকরা বাঘিনীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।বর্তমানে বাঘিনী সুস্থ আছে।অন্যদিকে চরঘেরী এলাকায় যে বাঘটি ঢুকে আছে,তাকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।