নিজস্ব সংবাদদাতা , বীরভূম :-▪ গ্রামীণ মানুষের জীবনচর্চা ও কৃষির উন্নতিতে শান্তিনিকেতনের অদূরে ১৯২২ সালে রবীন্দ্রনাথ স্থাপন করেন শ্রীনিকেতন। সুরুলের কুঠিবাড়িকে ঘিরে শুরু হয় গ্রামোন্নয়নের কাজ। পুত্র রথীন্দ্রনাথকে বিলেতে পাঠান বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে উন্নত প্রযুক্তির কৃষিকাজের পাঠ নিতে। সেই সঙ্গে শুরু হয় কৃষিকাজে উৎসাহ দেওয়ার কাজ। কৃষিকাজের উৎসাহ দিতে রবীন্দ্রনাথ ১৯২৮ সালে শ্রীনিকেতনে শুরু করলেন হলকর্ষণ উৎসবের। সেদিন কবি নিজে হাল চালনা করেছিলেন, মন্ত্রোচ্চারণ করেছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন। সেই দিনটিকে স্মরণ করে আজও চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী হলকর্ষণ উৎসব পালন করে আসছে শ্রীনিকেতন। আগে বর্ষার সময় যে কোনওদিন হলেও রবীন্দ্র তিরোধানের পর প্রতি বছর ২৩শে শ্রাবণ শ্রীনিকেতনে এই হলকর্ষণ উৎসব পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রথা অনুসারে এই হলকর্ষণ উৎসবে হালচালনা করেন একজন কৃতি কৃষক। ৯২ তম হলকর্ষণ উৎসব এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়। করোনা ভাইরাস এর সংক্রমনের কথা মাথায় রেখেই সামাজিক দূরত্ব ও বিধি নিষেধ মেনে হলকর্ষণ উৎসব উদযাপন হয়।হলকর্ষণ উৎসব কে ঘিরে রবীন্দ্র ভবনে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বিশ্বভারতী। রবীন্দ্রনাথের সময়কালের কিছু দুষ্প্রাপ্য ছবি দিয়ে এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল।