পূর্ব বর্ধমান-দোকানের সামনে জ্বল জ্বল করছে কালনা মহকুমা হসপিটালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের লেখা ভুয়ো নাম। কালনা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল এর ভুয়ো চক্ষু বিশেষজ্ঞ লাবনী ভৌমিকের নাম সাইনবোডে দেখে এলাকাবাসীরা দেখিয়েছেনও সেই ডাক্তারকে ভরসা করে তাদের চোখ। কিন্তু চোখ দেখিয়ে পাওয়ার গন্ডগোল করে দিয়েছেন সেই চিকিৎসক, এমনই অভিযোগ করলেন এলাকাবাসী। এই যাবৎ কালে কালনা মহকুমা হসপিটালে ওই নামের কোন চিকিৎসকই নেই বলে ও দাবি করা হচ্ছে হাসপাতালের তরফ থেকে। কালনা হসপিটালে সহকারি সুপার গৌতম বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যমকে এমনই জানালেন।
জানা যাচ্ছে, কালনা এক নম্বর ব্লকের বাঘনাপাড়া এলাকায় রামকৃষ্ণ মেডিকেল হলে কালনা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের ডাক্তার লাবনী ভৌমিক নামক এক চক্ষু বিশেষক সোম এবং শুক্রবার সপ্তাহের দুদিন বসেন এখানে। আর এমনই নাম সহ ৩ তারিখ লেখা সাইনবোর্ড জ্বলজ্বল করছে ওই দোকানের সামনে। ওই দোকানের মালিক কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্যত তিনি ও স্বীকার করে নেন তিনি কালনা হসপিটালে চিকিৎসক নয়। যদিও তিনি দাবি করেছেন এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। সেই সাথে তিনি কেন এমন পোস্টার লাগিয়েছেন কারো কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। যদিও সেই দোকানের মালিক স্বীকার করেন তার ভুল হয়ে গেছে বলে।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত মন্ডল তার স্ত্রী এবং মা তিনজনই এই চিকিৎসকের কাছেই তাদের চক্ষু পরীক্ষা করিয়েছিলেন। ডাক্তার লাবনী ভৌমিক তাদের চশমা দেওয়ার পাশাপাশি চশমার পাওয়ার চেঞ্জ করে দিয়েছিলেম। এরপর তারা সেই চশমায় নতুন পাওয়ার ব্যবহার করার পর ভালো মতন দেখতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কালনা মহকুমা হসপিটালের সহকারি সুপার গৌতম বিশ্বাস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে পরে তিনি জানান, এই নামে কালনা হসপিটালে কোন চক্ষু চিকিৎসক নেই। যদিও গতকাল তার বসার কথা থাকলেও ওই ওষুধের দোকানে গিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এরপর এই ঘটনার কথা জানার পরে ঐ চিকিৎসককে ফোন করা হলে পরে তিনি ফোনে সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি চিকিৎসক নন। তিনি একজন অপটোমেট্রিক ল। তিনি জানেনই না কে কোথায় তার নাম ব্যবহার করে কি লিখে রেখেছেন তা তার জানা নেই। এতে তার কোন দায় নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
