হাওড়ায় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ। হাওড়ায় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে মুখর এলাকার মানুষ। এদিন প্রকাশ্যেই চললো মারপিট।বুধবার দুপুরে হাওড়ায় জয়নারায়ণ সাঁতরা লেনের ওই স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে প্রকাশ্য রাস্তাতেই চলে মারামারি। অভিযোগ, এলাকার মানুষজন এর প্রতিবাদ করলে তাদেরও গালিগালাজ করে পড়ুয়ারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন বহিরাগতদের ডেকে এনে হামলা চালানোর চেষ্টা হয়। এরপরই স্থানীয় মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন কয়েকজন পড়ুয়াকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাওড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।এলাকার মানুষের অভিযোগ, ওই স্কুলের পড়ুয়ারা প্রকাশ্যে নেশা করে। বারবার বারণ করেও লাভ হয়নি।
এদিনের ঘটনার পর পুলিশ এক বহিরাগতকে আটক করে হাওড়া থানায় নিয়ে যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে এইভাবে মারধরের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুরজিৎ সাহা বলেন, এখানে এই স্কুলের ছাত্রদের অশান্তি নিত্যদিনের। অসভ্যতামি, সিগারেট, গাঁজা খাওয়া দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এখানে অত্যাচারের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এদিন এখানে একটি ছেলেকে বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। ইঁট ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষ জখম হয়েছে।
এখানে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এইভাবে একটা স্কুল এখানে চলতে পারে না। এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কোনও সিস্টেম নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও দায়িত্ব নেই। ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্কুলে এমন ঘটনা গত প্রায় ৫-১০ বছর ধরে চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারেবারে বলা সত্ত্বেও কোন রখম সুরাহা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ হাতজোড় করে বসে থাকে আর স্কুলের বাইরে ছেলেরা এসে এই এলাকা উচ্ছৃঙ্খল করে তুলেছে।
এই এলাকার মানুষ ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় এক জানান, স্কুলের ছুটির সময় প্রায় এরা দল পাকিয়ে এখানে মারপিট করে। এইদিন প্রায় ২০ জন ছাত্র একটি ছেলেকে লাঠি নিয়ে তাড়া করেছে। তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে এলে সেই ছেলেটা প্রাণে বেঁচে যায়। এই অবস্থা প্রতিদিন ঘটলে এলাকায় সমস্যা বাড়বে। মেয়েরা, ছাত্রীরা এখান দিয়ে গেলে টোন-টিটিকিরি করে। এখানে ধুমপান করে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালেও কিছু হয়নি। এমন ঘটনা এর আগেও হয়েছিল। প্রায়ই এখানে অশান্তি করে। মারপিট হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন – দিনহাটায় প্রচারে এসে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন উদয়ন
যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা সকলেই বাইরের ছেলে। এক স্কুল ছাত্রের অভিভাবিকা জানান, কয়েক মাস আগে স্কুলের এক ছাত্র অন্য ছাত্রকে ছুরি চালিয়েছিল। এর প্রতিশোধ এদিন নেওয়া হল। এটাই শোনা গিয়েছে। ছেলেকে টিফিনে খাওয়াতে প্রতিদিন এসে দেখেন কিছু না কিছু গণ্ডগোল হয়। সেই সময় স্যারেরা বিষয়টি সামাল দেয়।
কিন্তু পরে ছুটির সময় এর প্রতিশোধ নেয় অপরজন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত। এই ঘটনার সমাধান চাইছেন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক। আরেক অভিভাবক জানান, এদিন কিছু ছেলেরা এক ছাত্রীকে সিগারেট খাওয়াতে গিয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন। এই দেখে অভিভাবকরা এলাকার মানুষ আপত্তি জানায়। প্রতিবাদ করে। ছেলেগুলো দৌড়ে স্কুলে ঢুকতে গেলে কর্তব্যরত গার্ড আটকায় তাদের। তখন সেই ছেলেগুলো গার্ডকেও খুনের হুমকি দেয়।