হাওড়া পুরসভার ৪১৯ চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা বকেয়া বেতনের টাকা পেতে চলেছেন। হাওড়া পুরসভার ৪১৯ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চুক্তি রিনিউয়ের সম্মতি দিয়ে আগেই তা অর্থ দফতরের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। বিষয়টি এর আগে হাওড়া পুরনিগমের কমিশনারকেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। এবার পুরনিগমের হাতে এলো অর্থ দপ্তরের অনুমোদন।
ফলে ৪১৯ চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা বকেয়া বেতনের টাকাও এবার খুব শীঘ্রই হাতে পাবেন। এবিষয়ে পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “হাওড়া পুরসভার ৪১৯ অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক পুরকর্মীদের বকেয়া বেতন দেওয়ায় জন্য আর্থিক অনুমোদন অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে। ৬ মাসের জন্য এই আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর আমরা এদের চুক্তির পরবর্তী ৬ মাসের জন্য আবেদন করব। এরা গত ৬ মাস যে কাজ করেছিলেন তার বকেয়া বেতন পেয়ে যাবেন।
তবে ওই বকেয়া বেতনের টাকা একসাথে দেওয়া হবে না পার্টে দেওয়া হবে তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এরা এই খবরে খুশির হাওয়া পুরনিগমের ৪১৯ চুক্তিভিত্তিক পুরকর্মীদের। গত ডিসেম্বর মাস থেকে এদের চুক্তি রিনিউ না হওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন এরা। তার মধ্যেও পুর পরিষেবা বজায় রেখে এরা কাজ করে যাচ্ছিলেন। এরপর এদের চুক্তির পুনর্নবীকরণ হয় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অনুমোদনে। এবার অর্থ দপ্তরের ৬ মাসের আর্থিক অনুমোদন আসায় এরা বকেয়া বেতনের টাকাও হাতে পাবেন। এদিন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “এরা কাজে যোগ দিয়ে আগামী দিনের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন। অনেকে নতুন সংসার করেছেন। এদের সংসারেও দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের সংস্থান হয়েছে।
তৎকালীন পুরবোর্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুলের কারণেই এতগুলো ছেলেমেয়েকে ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে। রাজ্য সরকার শুধু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক রূপ, তাঁর মানবিক মনোভাব নিয়ে এটাকে করে যাচ্ছেন। আমি কমিশনারকে বলেছি একটা আবেদন করতে যাতে এদের প্রতি ৬ মাস অন্তর চুক্তি নবীকরণ না করে যদি ৬০ বছর বয়সসীমা পর্যন্ত পার্মানেন্টলি এদের কন্ট্রাকচ্যুয়াল সার্ভিস যাতে হয়ে যায়। বারবার যাতে আর এদের চুক্তি নবীকরণ করার প্রয়োজন না হয়। কমিশনার এটার জন্য আবেদন করে পাঠালে যথাযথ জায়গায় পাঠানো হবে।”