ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তান্ডব অব্যাহত। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ঘর বাড়িও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আতঙ্কে রয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষজন।ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া এলাকায় ৭ থেকে ৯ টি হাতি মঙ্গলবার রাতে আচমকা চলে আসে। যার ফলে এদিন ওই এলাকায় হাতির হামলার আশঙ্কা দেখা দেয়। খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে লোকালয়ের হাতির দল চলে আসছে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে যার ফলের সমস্যায় রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঠিক সেই সময় হাতি এলাকায় ঢুকে পড়ায় রগড়া এলাকা জুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে । বিষয় টি বনদপ্তর কে জানানো হয়েছে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাঁকরাইল ব্লকের পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম ব্লক জুড়ে হাতির তাণ্ডব মঙ্গলবার অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করেছে হাতির দল।
যার ফলে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শালবনি, কলাবনি, নেদাবহড়া, চন্দ্রি ,পুকুরিয়া, মানিকপাড়া ,বালি ভাষা সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়িতে হানা দিচ্ছে হাতির দল। তাই গ্রামবাসীরা একরাশ আতঙ্ককে বুকে নিয়ে কোনক্রমে বাড়িতে রয়েছেন। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিভিন্ন রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে হাতি ।
আরও পড়ুন – জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন
যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে হাতির দল তান্ডব শুরু করেছে। যার ফলে হাতির হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটছে ওই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের । সেই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম, বিনপুর ,লালগড় থানা এলাকায় হাতির দল মঙ্গলবার ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছে । বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বন দফতর এর পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জঙ্গল এলাকার রাস্তা দিয়ে সন্ধ্যা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত গ্রামবাসীদের যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে ।