হাতির পায়ে আঘাত, সুস্থ করতে ঘুমপাড়ানি গুলি করে অস্ত্রোপচার। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আসা দল হাতির মধ্যে একটি হাতির পায়ে আঘাত লেগেছিল। পঞ্চাশ পঞ্চান্নটি হাতির দলের মাঝে খুঁড়িয়ে হাঁটতে থাকা সেই হাতিটির শারিরীক অবস্থা নজর এড়ায়নি বন দফতরের। শেষ পর্যন্ত হাতিটিকে জঙ্গলের মাঝে ঘুমপাড়ানি গুলি করে তার পায়ে অস্ত্রোপচার করল বন দফতর।
আশা খুব দ্রুতই সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে হাতিটি। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে দিন দশেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্নটি বুনো হাতির দল এসে পৌঁছায় বাঁকুড়া জেলায়। হাতির দলটি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থেকে দারকেশ্বর নদ পেরিয়ে সোনামুখী ব্লক ছুঁয়ে হাজির হয় বড়জোড়া ব্লকের বিস্তীর্ন জঙ্গলে। সেখানেই বন কর্মীদের নজরে আসে একটি দাঁতাল হাতি খুঁড়িয়ে হাঁটছে।
আরও পড়ুন – “বাংলা ভারতকে পথ দেখাবে”- রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
এরপরই বিষয়টি জানানো হয় বন দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের। এরপর বেশ কয়েকদিন ধরে নজরদারি চালানোর পর বন দফতর নিশ্চিত হয় হাতিটির পিছনের ডান পায়ে একটি গভীর ক্ষত হয়ে রয়েছে। সেই ক্ষতে সংক্রমণ ঘটে পরিনত হয়েছে ফাইব্রোসিসে। এরপরই হাতিটির চিকিৎসার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়। আজ সকালে বাঁকুড়ার সামন্তমারা গ্রামের অদূরে জঙ্গলের ভেতরেই হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে তার চিকিৎসা শুরু হয়।
পায়ের ক্ষতের জায়গাটি ড্রেসিং করে এন্টিবায়োটিক ও ব্যাথার ইঞ্জেকশান দেওয়া হয়। বন দফতরের আধিকারিক ও চিকিৎসকদের আশা এরপর হাতিটির পায়ের ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে উঠবে এবং হাতিটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে। বন দফতরের কেন্দ্রীয় চক্রের মূখ্য বনপাল এস কুলানডাইভেল বলেন, ” চিকিৎসা সফলভাবে করা সম্ভব হয়েছে। হাতিটিক্র আগামী কয়েকদিন কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হবে”।