হাতির হামলায় আহত এক মহিলার মৃত্যু ঘিরে ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়া এলাকায় চাঞ্চল্য। শনিবার সাতসকালে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া বিটের অন্তর্গত সাপধরা গ্রামের এমএসকে স্কুলের সামনে মিনি খিলাড়ি নামে প্রায় 50 বছর বয়সী এক মহিলা কে হাতি শুঁড় দিয়ে আছাড় মারে।যার ফলে গুরুতর আহত হয় মহিলা। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হাতির হামলায় আহত ওই মহিলার মৃত্যু হয়। যার ফলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঝাড়্গ্রাম থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃত মহিলার পরিবারকে সরকারি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানানো হয় । গত বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের গোখুরপাল এলাকায় পূর্ণ চন্দ্র মাহাতো নামে 60 বছর বয়সী এক ব্যক্তি স্থানীয় জঙ্গলের শালপাতা তুলতে গিয়ে হাতির হামলায় মারা যায়। তিনি স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন।
আর ও পড়ুন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলো স্বামী
ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে চার দিনের মাথায় শনিবার ফের হাতির হামলায় ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া এলাকায় মিনি খিলাড়ি নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত থাকায় যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা । ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির তান্ডব যেমন অব্যাহত রয়েছে, তেমনি হাতির হামলায় প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সেই সঙ্গে মাঠে থাকা ফসলের ও ঘরবাড়ির ক্ষতি করছে হাতির দল। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম গুলির বাসিন্দার হাতির হামলার ভয়ে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। নতুন করে ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির দল প্রবেশ করেছে। তাই চিন্তায় পড়েছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম গুলির বাসিন্দারা। যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খাবারের সন্ধানে হাতি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসছে তাতে যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
সেই সঙ্গে কখনও রাজ্য সড়কের উপর, কখনো ছয় জাতীয় সড়কের উপর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। যার ফলে যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। গাড়ি নিয়ে যেতেও ভয় করছেন গাড়িচালকেরা। বন দফতর থেকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রাম সফরএর আগে যেভাবে হাতির দল তাণ্ডব শুরু করেছে তাতেই যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন বনদপ্তর এর আধিকারিকরা ও কর্মীরা।