হাতি আটকাতে মেদিনীপুর সদর ব্লকের জঙ্গলে গভীর পরিখা কাটা হচ্ছে। গভীর জঙ্গল থেকে হাতির বেরিয়ে আসা ঠেকাতে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতি এলাকায় জঙ্গলের ভেতর কাটা হচ্ছে গভীর পরিখা। এর আগে হাতির পালকে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া গ্রাম গুলিতে ঢোকা ঠেকাতে জঙ্গল পথে দেওয়া হয়েছিল বৈদ্যুতিক বেড়া । লাগানো হয়েছিল অর্গানিক বেড়া । বৈদ্যুতিক বেড়ায় গ্রামের গরু , ছাগল , ভেড়ার পালের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেটা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
আর্গানিক বেড়াও টেকেনি। শেষমেশ বেছে নেওয়া হয়েছে এই গভীর পরিখা। মেদিনীপুর সদর ব্লকের
চাঁদড়ার জঙ্গল থেকে হাতির পাল যাতে গুড়গুড়িপালের জঙ্গল পেরিয়ে মেদিনীপুর শহরের দিকে ঢুকতে না পারে এজন্য কঙ্কাবতী জঙ্গল পথের ৯ কিলোমিটার লম্বা গভীর পরিখা কাটার কাজ শুরু করেছে বন দপ্তর।
আগে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় দাঁতালরা দলমা থেকে এসে ফসল খেয়ে , নষ্ট করে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ফিরে যেত। এখন প্রায় সারা বছর ধরেই হাতির পাল বাঁকুড়া , ঝাড়গ্রাম , পুরুলিয়া , পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল এলাকায় থেকে যাচ্ছে।
আর ও পড়ুন রামগঙ্গা নদী বাঁধ তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
এক বন আধিকারিক জানান , হাতির হামলায় ফসল ও প্রাণ হানীর ঘটনা ঘটছে। এটা কমাতে সারা বছর ধরে বন কর্মীরা হাতি তাড়ানোর কাজ করে চলেছেন। হুলা পার্টির তাড়া খেয়ে হাতির পাল এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাচ্ছে। খাবারের টানে পুনরায় ফিরে আসছে। হাতি তাড়াতে গিয়ে এদের পাল্টা হামলায় হুলা পার্টির সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা ও ঘটছে।
উল্লেখ্য, গভীর জঙ্গল থেকে হাতির বেরিয়ে আসা ঠেকাতে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতি এলাকায় জঙ্গলের ভেতর কাটা হচ্ছে গভীর পরিখা। এর আগে হাতির পালকে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া গ্রাম গুলিতে ঢোকা ঠেকাতে জঙ্গল পথে দেওয়া হয়েছিল বৈদ্যুতিক বেড়া । লাগানো হয়েছিল অর্গানিক বেড়া । বৈদ্যুতিক বেড়ায় গ্রামের গরু , ছাগল , ভেড়ার পালের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেটা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।