মার্কিন মুলুকে ফের হামলা চালাতে পারে আল কায়দা, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য। আফগানিস্তানের বুকে কার্যত জাঁকিয়ে বসতে চলেছে তালিবান মদতপুষ্ট আলকায়দা এমন আশঙ্কার কথা জানালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল যে , সন্ত্রাসবাদী যে সমস্ত শক্তিকে তারা নিকেশ করার টার্গেট নিয়েছিল তা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। আর তা সম্পন্ন হয়ে যাওয়াতে এবার নিশ্চিন্তে মার্কিন সেনা দেশে ফিরে যেতে পারে।
ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রবল সমালোচনায় মুখর হয় একাধিক দেশ। এবার সেই বাইডেন প্রশাসনই জানান দিল যে, যা পরিস্থিতি তাতে , আফগানিস্তানের বুকে কার্যত জাঁকিয়ে বসতে চলেছে তালিবান মদতপুষ্ট আলকায়দা। আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে বড়ো ভয়।
আফগানিস্তানের মাটিতে ধীরে ধীরে ঘাঁটি গাড়তে শুরু করে দিয়েছে আল কায়দা। এমনই তথ্য মার্কিন রিপোর্টে উঠে এসেছে। তাদের মতে এই মাটি থেকেই এবার আল কায়দা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ছক কষে যাচ্ছে। ৯/১১ সালের হামলার মতোই হামলা চালাতে পারে তারা। এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই আফগান মুলুকে আলকায়দা যে নিজের প্রবল শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে , তা আমেরিকা টের পেয়েছে। একথা স্বীকার করে নিয়েছেন সিআইএর ডেপুটি ডিরেক্টর ডেভিড কোহেন।
আর ও পড়ুন জলে ভাসছে পটাশপুর, খোলা হয়েছে অন্তত একশোটি ত্রাণ শিবির
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা জান যাচ্ছ, তাতে আল কায়দা ধীরে ধীরে এক দুই বছরের মধ্যে নিজেকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করে নিতে পারবে। আর তার হাত ধরেই আল কায়দা প্রবল দাপট হানতে পারে আমেরিকার বুকে। মার্কিন মুলুকে ফের আলকায়দা হামলা করতে পারে এমন আঁচ পেতেই আর বসে নেই মার্কিন প্রশাসন। আফগানিস্তানের বুকে নিজেদের ‘সোর্স’ বাড়িয়ে নিতে ধীরে ধীরে সমস্ত রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে ব্যস্ত আমেরিকার গর্বের দুই টুইন টাওয়ারেই হামলা চালায়নি আলকায়দা, একই সঙ্গে একটি বিমান অপহরণ করে তা দিয়ে দুই টাওয়ার ধ্বংস করে তারা শতাধিক মানুষকে অক নিমেষে খুন করেছে।
মার্কিন ইতিহাসে সেই রক্তাক্ত দিন কোনও মার্কিনীই প্রায় ভুলতে পারেনি। কার্যত সেই আতঙ্কের রেশ নিয়েই ফের একবার হামলা হতে পারে আমেরিকায় বলে মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের সেই হামলার নেপথ্যে ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। যাকে পরে নিকেশ করে আমেরিকা।