হাসনাবাদে মহিলা খুনে নয়া মোড়,ছেলের হাতে খুন মা

হাসনাবাদে মহিলা খুনে নয়া মোড়,ছেলের হাতে খুন মা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

 

নিজস্ব সংবাদদাতা,হাসনাবাদ,২৪শে জুন :হাসনাবাদে মহিলা খুনে নয়া মোড়,ছেলের হাতে খুন মা
বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার তকিপুর চারা বটতলা চলতি মাসের ১৩ ই জুন বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ বছর ৩৬ সরস্বতী দাস নিজের বাড়িভিতরে অন্ধকারে শৌচাগারে যাচ্ছিল সেই সময় দুষ্কৃতীরা এসে গুলি করে, কুপিয়ে খুন, এই ঘটনার জেরে তৃণমূল ও বিজেপি যে যার দলীয় কর্মী হিসেবে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি শুরু করে। সরস্বতী দাস এলাকায় তৃণমূলের মিছিল যেমন সক্রিয় কর্মী হিসেবে উপস্থিত ছিল, তেমনি আবার কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগদান করে বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের, সরস্বতী দাসের মৃতদেহ দখল রাখতে কখনো তার বডি নিয়ে মিছিল করে তার বাড়িতে পৌঁছে যায়, আবার কখনো আর্থিক অনুদান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব তার বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া সব মিলিয়ে প্রশাসনের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছিল। পুলিশ এই খুনের মোটিভ দেখে ধন্দে পড়েছিল জেলা ও রাজ্য প্রশাসন, যথেষ্ট নড়েচড়ে বসেছিল পুলিশ। খুঁজছিল সরস্বতী দাসের মোবাইল ফোন ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা জিনিসপত্র কিন্তু মোবাইল ফোন উদ্ধার হল খুন করা আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারিনা।হাসনাবাদ থানার পুলিশ, কিন্তু ঘটনার আট দিন পরে এই খুনের নয়া মোড়, রাজনৈতিক খুন,না তৃণমূল, বিজেপি মধ্যে কোনো সংঘর্ষ নয়,

এমনটা প্রশাসন সূত্রে খবর। সরস্বতী দাসের ছেলে বছর উনিশের সুমন দাস কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য, মা খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে এমনকি সুমন দাস কে নিয়ে রাত ১১ টা নাগাদ পুলিশ গ্রামে গিয়ে এই খুনের পূনর নির্মান করে, সুমনকে নিয়ে গিয়ে কিভাবে খুন করা হয়েছিল, কখন বেরিয়েছিল, কোথা থেকে কীভাবে প্রথমে মাথায় গুলি করা হয়েছিল , তারপরে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল পুরোটাই পুলিশের সামনে এই ঘটনা পূনর নির্মাণ করে দেখায় সুমন পুলিশকে। সুমন সঙ্গে অন্য কোনো দুষ্কৃতী ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন এই নিশংস খুন পুলিশের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ,মায়ের অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলেছিল ছেলে? না অন্য কোনো কারণ আছে? দীর্ঘদিনের প্রতিহিংসামূলক আচারণ মায়ের । তার রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে, পুলিশের কাছে সুমন এখনো ঘটনাস্থলে যেটা পুরো নির্মাণ তথ্য উঠে এসেছে, না অন্য কোনো দুষ্কৃতীর সাথে ছিল কি না খতিয়ে দেখছে বসিরহাট পুলিশ জেলা সুপার কে সবেরি রাজকুমার। তৃণমূল, বিজেপির রাজনৈতিক তরজা ছিল এই মৃতদেহ কে নিয়ে। কিন্তু এই পুলিশের সাফল্যে এলাকার মানুষ ভালো চোখে দেখছেন। ধৃত সুমনকে রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে, ধৃত সুমনকে পুলিশ আদালতের কাছে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে,হাসনাবাদ থানার পুলিশ*।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top