হাসপাতালের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারামারি, আহত ২. হাসপাতালের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে শ্যালক ও জামাইবাবুর মধ্যে মারামারি। ঘটনায় দু’জনই আহত। আহত অবস্থায় দু’জনকেই লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জামাইবাবুকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। দিনের আলোয় হাসপাতালের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারামারির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য শনিবার, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল সুপার মহম্মদ মেহেফুজ বলেন, বিষয়টি খুব উদ্বেগের, হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য লালবাগ মহকুমা শাসক ও স্থানীয় থানাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে মুর্শিদাবাদ থানার বালি পাহাড়পুরের তাহিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে ওই থানার চন্দ্রহাটের নার্গিস বিবির বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন – বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধ স্থানীয়দের
বিয়ের পরে থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় নার্গিস বিবি কীটনাশক খায়। স্থানীয়রা রাতেই তাকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে তাহিরউদ্দিন তার স্ত্রীকে দেখতে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে আসে। অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে শ্যালক মনিরুল ইসলাম হাঁসুয়া দিয়ে জামাইবাবু তাহিরউদ্দিনকে কোপায়। তাহিরউদ্দিন বাধা দিলে দু’জনই আহত হয়।
হাসপাতালের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারামারির ঘটনায় রোগী ও তাদের পরিজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। মুর্শিদাবাদ থানার পুলিস আধিকারিক বলেন, মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।