
হাসপাতালগুলিতে ( hospital ) বৃদ্ধ ,অসহায় রোগীদের আর খোঁজ নেয়না পরিবার।বৃদ্ধ বাবা-মা কিংবা পঙ্গু আত্মীয় রোগী হাসপাতালগুলিতে ( hospital ) ভরে গিয়েছে।নিজেদের ঘাড় থেকে সহজেই ঝেড়ে ফেলার একশ্রেণীর কুৎসিত মানসিকতার পরিবারের সদস্যদের মানুষের কারণে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে এমন রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, এমনও দেখা গেছে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করতে আসর পর রোগীর আত্মীয়রা আর ফিরে নিয়ে যাওয়া তো দূর অসুস্থ রোগীর খোঁজ নিতেও আসেনি কেউ। ফলে হাসপাতালের বেড দখল করে বহু বেওয়ারিশ রোগী থিক থিক করছে।
আর ও পড়ুন দেবী দুর্গা হয়ে আসছেন কোয়েল মল্লিক ( Koel Mallick)
খোদ জেলা সদর হাসপাতাল ( hospital ) অর্থাৎ মেদিনীপুর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মহিলা এবং পুরুষ ওয়ার্ড গুলিতে একটু কান পাতলেই এমন অনেক রোগীরই সন্ধান মিলবে।দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার পঞ্চানন কুন্ডু ও অবশ্য এই সমস্যা স্বীকার করে নেন।
তিনি বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মা কিংবা পঙ্গু আত্মীয়কে রোগী হিসেবে দেখিয়ে চিকিৎসার অছিলায় হাসপাতালে ভর্তি করে রোগীর রক্ত হয়ে যাবার ঘটনাটা বেশ কিছু সময় ধরে চলছে যেটা সমাজের পক্ষে সত্যিই খুব দুঃখজনক ব্যাপার।
সূত্রের খবর বিভিন্ন কারণে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সময় রোগীর পরিচয় পত্র সহ অন্যান্য নথি বাধ্যতামূলক করা হলেও রোগী ভর্তির সময়এখনো পর্যন্ত আধার কার্ড সহ অন্যান্য পরিচয় পত্র জমা করা বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠেনি।
আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন সমাজের কিছু নিচু মানসিকতার লোকজন। হাসপাতলে একবার রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন হলেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগীর খাওয়া-দাওয়া এবং পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু দিনের পর দিন এমন ধরনের রোগীর পরিষেবা প্রদান করতে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছে অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা।যেটা সত্যিই এক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
মাঝেমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এইধরনের রোগীকে বাড়ি পাঠানোর জন্য। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকায় অসুস্থ রোগীরা ঠিকমত বলতে পারছেন না তাদের নাম ঠিকানা এবং পরিচয় পত্র সংক্রান্ত কোন নথিও হাসপাতালে জমা না দেওয়ায় তাদের বাড়ি পাঠাতে সমস্যায় পড়ছে পুলিশ প্রশাসন।
নিজেদের অশতিপর বৃদ্ধ বাবা-মা কিংবা রোগগ্রস্ত আত্মীয়কে হাসপাতালে ছুঁড়ে ফেলে আসার মত কুৎসিত মানসিকতা থেকে যবে বেরিয়ে আসবেন সমাজের একশ্রেণীর মানুষ সেইদিন ই এই সমস্যার একটি নির্মল সমাধান তৈরি হবে এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।