নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪ পরগনা, ২৮ ডিসেম্বর, দশমাস দশদিন গর্ভধারিনী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল হাবড়া হাসপাতাল থেকে। তারপর থেকে বিভিন্ন জাগায়মায়ের খোঁজে পোষ্টার মারা থেকে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়িয়েছেন ছেলে দেবদুলাল দাস। রাতের ঘুম বলে কিছে ছিলনা এই আঠেরো দিন ধরে। নাওয়া খাওয়া ভুলে শুধুই তার মায়ের খোঁজ করে গেছেন। অবশেষে মায়ের খোঁজ পেলেন ছেলে।
শুক্রবার রোজকার মত সমস্ত রেল স্টেশানে খোজার মত বারাসাত রেল স্টেশানে মাকে খুজছিলেন তিনি। সেই সময় তার মোবাইল ফোনে প্রতিবেশীর এক যুবকের ফোন আসে তার মায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে। সাথে সাথে ছুটে যান খবর শুনে শিয়ালদহ স্টেশানে।
প্রতিবেশী যুবক সুভায়ন দে এবং সৌম্যজিৎ মুখাজ্যি জানান শনিবার সুভায়ন সন্ধ্যা ৭-২৪ এর ট্রেন ধরে বাড়ি আসবে সে সময় নজরে আসে বৃদ্ধাকে সাথে সাথে একটি ছবি তুলে সোম্যজিৎ কে পাঠায় সে।পরবর্তীতে দুজন মিলে।তাদের পড়িবার কে খবর দিলে। পরিবার এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই শীতের ভেতর কষ্ট করে স্টেশনে থাকার জন্য শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল হয়ে পরেছে বৃদ্ধা।শনিবার তার বাড়িতে গেলে দেখা যায়। তিনি নিজে ঘুমোচ্ছেন। মাথার সামনে ছেলে দেবদুলাল বসে মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। মাকে ফিরে পেয়ে খুশি দেবদুলাল এক কথায় আনন্দে আত্মহারা বলা যায়। পাশাপাশি বৃদ্ধাকে খুজে পেয়ে পরিবারের হাতে দিতে পেরে খুশি দুই যুবক।
প্রসঙ্গত চলতি মাসের আট তারিখ মায়ানী দাস নামে অশোকনগরের বাসিন্দা ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা হাবরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সহ এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতেও একাধিকবার গিয়েছেন। প্রশাসনিক বিভিন্ন দরজায় দরজায় ঘুরেছেন ছেলে মায়ের সন্ধান পেতে। যদিও পুরো ঘটনায় হাসপাতাল সিকিউরিটি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।