দেশ – উত্তরবঙ্গের বন্যার ধ্বংসলীলার মাঝেই হিমাচল প্রদেশে ঘটে গেল আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা। বিলাসপুর জেলার বল্লু সেতুর কাছে মঙ্গলবার এক বেসরকারি যাত্রীবোঝাই বাস ধসের নীচে চাপা পড়ে। প্রাথমিকভাবে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও যাত্রীরা আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় থেকে হঠাৎ করে বিপুল কাদা ও পাথরের স্রোত নেমে আসে। মুহূর্তের মধ্যে ধসের আঘাতে মারোটান-কালাউল রুটে চলমান বাসটি চাপা পড়ে এবং বাসটির কাঠামো প্রায় পুরোপুরি ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়।
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে তিনজন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ধসের নীচে আরও কেউ আটকা আছে কি না, তা জানার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, দমকল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতের দল পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দরাও অংশগ্রহণ করছেন। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা চলছে।
প্রশাসন সতর্ক করেছে, বৃষ্টিপ্রবণ পাহাড়ি এলাকায় আরও ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। তাই উদ্ধারকাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলছে। হিমাচল প্রদেশে কয়েক সপ্তাহ আগে একইভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে বহু জেলা জলের তলায় তলিয়ে যায়, দোকানবাড়ি ধূলিসাৎ হয়।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০ জুন থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির কারণে ২৬১ জন মারা গেছেন। এছাড়া দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৮৭ জন। সব মিলিয়ে এই সময়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪৮। বর্তমান ধসের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
