রায়গঞ্জে উদ্ধার বিরল অসুস্থ হিমালায়ন গ্রীফন শকুন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর রায়গঞ্জ বন্দর শ্মশান সংলগ্ন ইসকন মন্দিরের পাশে কান্তনগর থেকে উদ্ধার হল একটি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন। এই শকুনটি একেবারেই লুপ্তপ্রায় প্রজাতির বলে জানিয়েছেন পাখি বিশেষজ্ঞরা ।
উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর এ্যানিম্যালসের জেলা সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, এই অসুস্থ শকুনটি কান্তনগরের পাশে কুলিক নদীর বাঁধে গত তিন চার দিন ধরে ঘোরাফেরা করছিল। শকুনটি অসুস্থ ,কারণ সেটি উড়তে পারছে না এবং ডান পায়ে চোট আছে ।
সেখানকার স্থানীয় লোকেরা কয়েক দিন ধরেই শকুনটিকে দেখতে পাচ্ছিল ।আজকে ইসকন মন্দিরে থেকে ফেরার সময় রায়গঞ্জ রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভু দাস শকুনটিকে দেখতে পেয়ে সেটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদেরকে খবর দেন। খবর পেয়ে সংস্থার সম্পাদক গৌতম তান্তিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে গিয়ে শকুন টিকে উদ্ধার করে সংস্থার পশু এম্বুলেন্সে রেসকিউ করে নিয়ে আসে। সংস্থার সদস্য নিবারণ দেবনাথ ,সৈকত সাহা, অগ্নি মোদক, রাজন শর্মা এই উদ্ধার কার্যের সময় উপস্থিত ছিলেন ।উদ্ধার করার পর শকুনটিকে রায়গঞ্জ ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি তে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – শুভেন্দু অধিকারী কে গ্রেপ্তারের দাবিতে দাঁতনের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে মিছিল
বিশিষ্ট পক্ষী বিশেষজ্ঞ ক্ষীরোদ সরকার বলেন, এই ধরনের শকুন অতীতে প্রচুর পরিমাণে ছিল। কিন্তু এখন ডাইক্লোফিনিক ওষুধের প্রভাবে এদের প্রজাতি একেবারেই বিলুপ্তপ্রায় । সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে এখন শকুনের সংখ্যা মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ এর কাছাকাছি। তাই এদের সংরক্ষণের বিশেষ প্রয়োজন। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ শকুনটিকে চিকিৎসার প্রয়োজনে শীঘ্রই রাজাভাতখাওয়ার শকুন প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে রাখা হবে। হিমালায়ন