বিনোদন -টলিপাড়ায় দেব-জিৎদের পাশাপাশি আরও এক নায়কের উত্থান হয়েছিল। তিনি হলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। একসময় চুটিয়ে অভিনয় করলেও এখন আর অভিনেতাকে বড়পর্দায় দেখা যায় না। বরং রাজনীতির ময়দানেই দৌড় বেড়েছে হিরণের। টলিপাড়ার পরিচিত হিরো হিরণ বেশ কিছু বছর ধরেই রাজনীতির ময়দানে নিজের খেল দেখিয়ে চলেছেন। তবে এখনও তো হিরো সত্ত্বা থেকে নিজেকে পুরোপুরি বের করে আনতে পারেননি। রবিবাসরীয় দুপুরে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদের সেরকমই এক ছবি পোস্ট হতেই শোরগোল নেটপাড়ায়।
রবিবার হিরণ যে ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে খালি গায়ে পুলের জলে। ভেজা চুল ও শরীরেই পোজ দিয়েছেন হিরণ। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই নেটিজেনদের আবদার হিরণকে আরও একবার বড়পর্দায় দেখার। নেটিজেনদের কেউ লিখেছেন, দাদা তুমি মুভিতে একটা বড় কামব্যাক করে দেখিয়ে দাও। তোমাকে আবার সিনেমায় দেখতে চাই। আবার কেউ বলেছেন, অনেকদিন পর দেখলাম হিরণ দাকে। ফিল্মে ফিরে এসো দাদা। জিৎ-হিরণ জুটি চাই। আবার কারোর মতে, কর্মাশিয়াল মুভি নিয়ে কামব্যাক করো হিরণ দা।
কোয়েল-শ্রাবন্তীর সঙ্গে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন হিরণ। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত নবাব নন্দিনী সিনেমায় কোয়েলের বিপরীতে দেখা যায় অভিনেতাকে। এই সিনেমা তাঁকে প্রচুর খ্যাতি এনে দেয়। এরপর ২০০৮ সালেভালবাসা ভালবাসা ও চিরসাথী ছবিতে সাবলীনতার সঙ্গে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে আবার কোয়েলের বিপরীতে মন যে করে উড়ু উড়ু ছবিতে অভিনয় করেন হিরণ। এরপর তাঁর অভিনীত জ্যাকপট ও রিস্ক সমালোচকদের দ্বারা যথেষ্ট প্রশংসিত হয়। পরবর্তীতে লে হালুয়া লে ও মাচো মস্তানা অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বাণিজ্যিকভাবে বেশ সফল হয়।
২০২০ সালে হিরণকে শেষবারের মতো বড়পর্দায় দেখা যায় জিও জামাই ছবিতে। খুব অল্প দিনের ফিল্মি কেরিয়ার ছিল হিরণের। এরপরই অভিনেতা সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তা ছেড়ে ২০২১ সালে হিরণ বিজেপিতে যোগ দেন। এবং একই বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর সদর আসনে জয়লাভের মাধ্যমে বিধায়ক নির্বাচিত হন। গত বছর নির্বাচনে ঘাটালে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন হিরণ, অভিনেতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন আর এক টলিউড অভিনেতা দেব। যদিও হিরণ ঘাটাল কেন্দ্র থেকে হেরে যান।
