নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম, ৬ ই ফেব্রুয়ারি : অবশেষে কপ্টার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটলো বৃহস্পতিবার। বীরভুমের বোলপুর সফরের জন্য হেলিকপ্টার পেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জাগদীপ ধনখর। শান্তিনিকেতনে এদিন তিনি এসে পৌঁছান শ্রীনিকেতনে মাঘ মেলার উদ্বোধনের জন্য।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা ৪০ নাগাদ তিনি হাওড়া ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে চেপে রওনা দেন। সকাল ৮ টা ৪৫ নাগাদ পল্লী শিক্ষা ভবনের মাঠে তাঁর হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায়। তাঁর নিরাপত্তার জন্য প্রথম থেকেই শ্রীনিকেতন এলাকা কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। বিশ্বভারতীর প্রথা ও রীতি অনুযায়ী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সস্ত্রীক রাজ্যপালকে উত্তরীয় পুষ্প দিয়ে বরণ করে নেন। মাঘ মেলা উদ্বোধনের পর তিনি শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ও পরে রাজভবনে পৌঁছে যান। রাজ্যপালের আসা যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৬ আসন বিশিষ্ট একটি হেলিকপ্টারের বন্দোবস্ত করা হয়।
মাসখানেক আগে মুর্শিদাবাদ সফরের সময় রাজ্যপাল নবান্নের কাছে হেলিকপ্টার চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই চিঠির উত্তর মেলেনি নবান্নের তরফ থেকে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। তারপর বাধ্য হয়েই মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান ও বীরভূম সফর করেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়। তবে এবারের বীরভূম সফরে তিনি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পেলেন হেলিকপ্টার। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, শেষমেষ হেলিকপ্টার বিবাদের দ্বন্দ্ব তাহলে মিটলো।
এদিন শান্তিনিকেতনে উপস্থিত হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর অবশ্য জানান, “মালদা মুর্শিদাবাদ ৩০০, ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ছিল তাই আমি হেলিকপ্টার চেয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকারের হয়তো কোনো অসুবিধা ছিল তাই তারা হেলিকপ্টার দিতে পারেনি। তাই আমি সড়ক পথে চলে গিয়েছি। আর আজও যদি হেলিকপ্টার না পাওয়া যেত তাহলে আমি ৮ টার পরিবর্তে ভোর ৪ টেয় ঘুম থেকে উঠে রওনা দিয়ে দিতাম। আমি হেলিকপ্টার পেলাম অথবা না পেলাম তা আমার কাছে কোন মূল্য নয়। আর আমি সুবিধাভোগী মানুষও নয়। দেওয়া না দেওয়া সরকারের বিষয়। এটাকে নিয়ে আমি বিতর্ক তৈরি করতে চাই না।