দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৯২৮ জন। দেশে রোজ লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। তবে বৃহস্পতিবার একধাক্কায় একটু বেশিই উঠে গেল সংক্রমণের গ্রাফ। গত এক দিনে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৯২৮ জন। গতকালের থেকে ৫৬.৫ শতাংশ বেশি। বুধবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৫৮ হাজার ৯৭। একই সঙ্গে ওমিক্রনের সংক্রমণও বাড়ছে। এখন দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৩০।
শুধু মহারাষ্ট্রেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯৭। দিল্লিতে ওমিক্রন সংখ্যাটা ৪৬৫। দেশে এখন ২৬টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দারুণ ছোঁয়াচে এই প্রজাতি, তবে অতটা মারাত্মক নয়। এর জেরে দেশে প্রথম মৃত্যুটি ঘটেছে রাজস্থানে। ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন। টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছেন। সম্প্রতি বিদেশে যাননি তিনি। তার পরেও আক্রান্ত হন।
দেশে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত যে ওমিক্রনের জেরে, সেই নিয়ে প্রায় একমত বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ আক্রান্তেরই উপসর্গ সামান্য। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। এই সপ্তাহে দেশে সংক্রমণের হার ৩.৪৭ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের হার ৬.৪৭ শতাংশ। দিল্লিতে এই সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। বাংলায় ২০ শতাংশের আশপাশে। কোভিড পরীক্ষা কম হলে বা দেশে কোভিড সংক্রমণ খুব বেড়ে গেলেই এই হার এত বেশি হয়।
আর ও পড়ুন ঝাড়খন্ডে বাস ট্রাকের সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত, আহত ২৬
দেশে এখন সুস্থতার হার ৯৭.৮১ শতাংশ। গত এক দিনে দেশে কোভিড থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ২০৬ জন। দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪০১। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত এক দিনে দেশে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৩২৫ জন। তার মধ্যে কেরলে মারা গিয়েছেন ২৫৮ জন। এক দিনে নয়। গত এক মাসে সে রাজ্যে মৃত্যুর পরিসংখ্যান যোগ করা হয়েছে এদিন। সংক্রমণের নিরিখে দেশে প্রথম মহারাষ্ট্র। দৈনিক আক্রান্ত ২৬ হাজার ৫৩৮। তার পরেই পশ্চিমবঙ্গ। দৈনিক আক্রান্ত ১৪ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।