পর পর ১০জন প্রসূতি মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে

পর পর ১০জন প্রসূতি মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পর পর ১০জন প্রসূতি মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। গত জানুয়ারি মাসে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা ছিল চার, ফ্রেব্রুয়ারিতে তিন আর মার্চে ১০। ঠিক এমনই অবস্থা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের।সূত্রের খবর, মাতৃত্বকালীন প্রসবের সময় ও পরে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা হঠাৎ কি করে এত বেড়ে গেল সে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলা প্রশাসনিক মহলের। আর তাই কি করে মাতৃত্বকালীন প্রসূতি মৃত্যুর হার কমানো যায় সে বিষয়ে জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলার উপস্থিতিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজিত হল বলে জানা গেছে। এই বৈঠক টি হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই।

আরও পড়ুন    ভুটান সীমান্ত জয়ঁগা তোর্ষা নদীতে চালু হতে চলেছে রিভার রাফটিং

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতাল সুপার, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল সহ কালনা ও কাটোয়া হাসপাতালের সুপারেরা।এই বিষয় নিয়ে জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, “গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাতৃত্বকালীন প্রসবের জন্য আসা ৫৭ জন প্রসূতি বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মারা গেছেন ১৭ জন। তার মধ্যে মার্চ মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১০জন প্রসূতির। মৃত্যুর এই হার দ্রুত কমানোর জন্যই এদিন আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হল।” এছসড়াও, তিনি জানিয়েছেন, “বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সার্বিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়েছে।”

 

আবার,বিষয়টি নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, “প্রসবকালীন মৃত্যুর হার বছরে গড়ে তিন থেকে চার জনের মধ্যে থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু গত মাসে এই সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, কালনা, কাটোয়া হাসপাতাল সহ অন্যান্য ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে অনেক প্রসূতিকে সংকটজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ধরনের প্রসূতির অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৃত্যু ঘটে।জেলার মহকুমা হাসপাতাল ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হবে।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top