১০০জন মানুষ মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করে শারদোৎসবের সূচনা করলেন। বিরামহীন বয়ে যাওয়া চওড়া বুকের রূপনারায়ণ পাড়ের বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয় তর্পণ ও পূন্যস্নান পর্ব রবিবার ভোর থেকে। এর সাথেই নদীঘাট সংলগ্ন কোলাঘাট সংকেত এবং ছাত্র সংঘ আয়োজিত পঞ্চাশতম শারদীয়া উৎসবের সূচনা হয়ে গেল মহালয়ার পূন্য সকালে। এলাকার বহু মানুষ স্মৃতি তর্পণ করে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। কোলাঘাটের বাসিন্দা মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী গৌরাঙ্গঘাটে স্মৃতি তর্পণ করেই পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে এই পূজোর উদ্বোধন করেন।
তারপরই শুরু হয় পঞ্চাশজন শিল্পী সমন্বয়ে চিত্তাকর্ষক আগমনী অনুষ্ঠান। এদিন প্রায় ১০০ জন মানুষ মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গিকার করে সদ্যপ আবরণ উন্মোচিত দেবী দূর্গার উদ্দেশ্যে পঞ্চপ্রদীপ প্রদর্শন করেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং সংস্কারের বেড়াজাল ভেঙে মরণোত্তর অঙ্গদানে মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করতে এই ভাবনা বলে পুজো কমিটির সভাপতি অভিজিত সামন্ত জানিয়েছেন। এদিন অতিথিদের সাথে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্বলন করেন সাফাইকর্মী হরিজন পল্লীর বস্তিবাসী সদ্যস স্বামী হারা সরস্বতী মাদরাজি।
আরও পড়ুন – মহালয়ায় তর্পণে ভিড় ফরাক্কার গান্ধি ঘাটে
উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে সরস্বতীর স্বামী সুকদেব মাত্র ৫২ বছর বয়সে হঠাৎ মারা যান। ওরা দু’জনই ছিলেন সংকেতের সর্বক্ষনের কর্মী তথা সদস্য্। সরস্বতী ওই শোকের মধ্যেই তার স্বামীর প্রাণহীন দেহের দু’টি চোখের কর্ণিয়া দান করে হতদরিদ্র সাফাইকর্মীর গৃহবধূ হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। পূজো কমিটির পক্ষে শুভঙ্কর বোস জানান, মহালয়া থেকে এই পুজো মন্ডপে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, প্লাস্টিক বর্জন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, বাল্যন বিবাহ রোধের বিষয় নিয়ে থাকছে বহুমূখী আয়োজন।
সেবামূলক কর্মসূচিতে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন, ঝুপড়িবাসীদের ত্রিপল খাদ্য ও বস্ত্র প্রদানের মত বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে কোলাঘাট সংকেত ও ছাত্র সংঘর আয়োজনে ৫০তম শারদ উৎসব উপলক্ষে। তিনি বলেন এবার মন্ডপ সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদীবক্ষে সিলভার জেট জলযানে প্রদর্শিত হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। ১০০জন মানুষ