খেলা – দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে এই ইতিহাস গড়ে রিসি বি। প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি ১৯১ রানের লক্ষ্য দেয় পাঞ্জাব কিংসকে। আরসিবির পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন বিরাট কোহলি, যিনি ৪৬ রান করেন। পিচটি ব্যাটারদের জন্য সহায়ক হওয়ায় ২০০-এর বেশি স্কোর প্রত্যাশিত ছিল, কারণ এই মরসুমে এখানে ১৬টি ইনিংসের মধ্যে ১১ বারই ২০০ বা তার বেশি রান উঠেছে।
পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস শুরুটা ভালোই হয়েছিল; প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন সিং পাঁচ ওভারে ৪৩ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু জশ হ্যাজেলউড প্রিয়াংশকে ২৪ রানে আউট করে জুটিটা ভাঙেন। পরে জশ ইংলিশ ও প্রভসিমরনের মধ্যে ভালো জুটি গড়লেও নবম ওভারে প্রভসিমরন আউট হন। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার মাত্র ১ রান করে আউট হওয়ায় পাঞ্জাবের জন্য বড় ধাক্কা লাগে। পরবর্তীতে জস ইংলিশও আউট হন।
আরসিবি ইনিংসে ফিল সল্ট ১৬ রান করে আউট হন, এরপর মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও বিরাট কোহলি ইনিংস সামলে নেন। মায়াঙ্ক ২৪ রান করে আউট হন। বিরাট কোহলি ও রজত পাটিদারের জুটিতে দল এগিয়ে যায়। যদিও ১১তম ওভারে রজত আউট হলেও কোহলি একপ্রান্তে দৃঢ় থাকেন। ১২তম ওভারে স্কোর ১০০ ছাড়িয়ে যায় আরসিবির। কিন্তু ১৫তম ওভারে বিরাট কোহলি ৪৩ রান করে আউট হন উমরজাইয়ের বলে।
পাঞ্জাব কিংসের একাদশ ছিল প্রিয়াংশ আর্য, জোশ ইঙ্গলিস, শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), নেহাল ওয়াঘেরা, শশাঙ্ক সিং, মার্কাস স্টয়নিস, আজমতুল্লাহ উমরজাই, কাইল জেমিসন, বিজয়কুমার বৈশাক, আরশদীপ সিং এবং যুজবেন্দ্র চাহাল। আরসিবির একাদশে ছিলেন ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, রজত পাটিদার (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন, জিতেশ শর্মা, রোমারিও শেফার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, যশ দয়াল এবং জোশ হ্যাজেলউড।
