কলকাতা – দলের রাজ্য সভাপতির পদে নেই, বড় কোনও দলীয় কর্মসূচিতে তেমন দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। তবুও প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ রয়েছেন নিজের ছন্দে, নিজের এলাকাতেই। সম্প্রতি খড়গপুরে জমজমাট কর্মীসভা করলেন তিনি। আর সেখান থেকেই উঠল প্রশ্ন—২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কি তিনি খড়গপুর থেকেই বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। সোজাসাপ্টা বললেন, “পার্টি আমাকে তিনবার প্রার্থী করেছে, আমি কোনওদিন টিকিট চাইনি, পদ চাইনি, তবুও দিয়েছে। অমিত শাহ নিজে বলেছেন বড় নেতাদের ভোটে লড়তে হবে। আমি যখন সভাপতি ছিলাম মাত্র ছ’মাস, পার্টির নির্দেশেই ভোটে লড়েছি।”
তিনি আরও জানান, “বিধানসভা ভোটের সময় যখন আমাকে চয়েস জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম খড়গপুর। তারপর মেদিনীপুর লোকসভায় চয়েস জানতে চাওয়া হলে, সেটাও বলেছিলাম। দু’বারই জিতেছি। কিন্তু শেষবার কেউ আমার চয়েস জানতে চায়নি—ফলাফল আপনারা দেখেছেন। এখন আমি পার্টিকে জানিয়ে দিয়েছি, যদি তারা ভোটে লড়তে বলে, আমি প্রস্তুত। তবে ২০২৬-এ খড়গপুর থেকেই প্রার্থী হব—এটা আপনি বা আমি কেউ জোর দিয়ে বলতে পারি না।”
দিলীপ ঘোষ মনে করেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি এক ধরনের ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করেছিল, যা সফল হয়নি। তিনি বলেন, “বাকিটা পার্টি বুঝে নেবে। আমার সংগঠন গড়ে তোলার কাজ শেষ, এখন দল যা বলবে তাই করব।”
কর্মীসভা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, “বিজেপির কর্মীরা এখনও দলের সঙ্গেই আছেন, কাজ করতে চান। বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতেই তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। মেদিনীপুর অঞ্চলে পার্টির সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকদিন কোনও বড় কর্মসূচি হয়নি বলে সবাই মিলেই কর্মীসভার আয়োজন করলাম। নিঃসন্দেহে এটা আনন্দের ব্যাপার।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে ইঙ্গিত মিলেছে, তেমনই উঠে এসেছে ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রস্তুতির বার্তা। ২০২৬-এ তিনি আদৌ প্রার্থী হবেন কি না, তা এখন দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।
