২৩ ডিসেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হলো হাওড়ার সাঁতরাগাছি সেতু। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো বড়দিনের আগেই ২৩ ডিসেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হলো হাওড়ার সাঁতরাগাছি সেতু। এখন থেকে যানজট নিয়ন্ত্রণে ড্রোনের সাহায্য নেবে হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছেন সিপি। সংস্কারের পর শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সাঁতরাগাছি সেতু পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। আগের মতো দু’দিক থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল বড়দিনের আগেই সাঁতরাগাছি ব্রিজ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিতে হবে। জানা গিয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হবে সাঁতরাগাছি সেতু।
সেইমতো সংস্কারের পর শুক্রবার থেকেই খোলা হয় সাঁতরাগাছি সেতু। পূর্ত দফতর দ্রুত কাজ শেষ করে বড়দিনের আগেই সেতু খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে সাঁতরাগাছি উড়ালপুলের এক্সপ্যানশান জয়েন্টের সংস্কারের কাজ কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর সোমবার পূর্ত দফতরের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ররা সেতু পরিদর্শন করে বড়দিনের আগেই চালু করার ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। জানা গেছে, সাঁতরাগাছি সেতু ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট নিয়ন্ত্রণে ড্রোনের সাহায্য নেবে হাওড়া সিটি পুলিশ।
ড্রোনের সাহায্যেই এবার থেকে নজরদারি চালানো হবে। এদিন এই সেতু পরিদর্শনে এসে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির কথা জানান হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। এদিন হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে যানবাহনের যাত্রীদের চকলেট বিতরণ করা হয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার জানান, গত ১৯ নভেম্বর থেকে সাঁতরাগাছি সেতু সংস্কারের সময় একদিক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে এবং অন্য অংশ বন্ধ করা হয়। অন্য রাস্তা দিয়ে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়ায় যাত্রীরা অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হন। তা সত্বেও তাঁরা সেটা মেনে নেন। সেই হিসেবে তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে হাওড়া সিটি পুলিশের এই চকলেট বিতরণের উদ্যোগ। প্রসঙ্গত, সাঁতরাগাছি সেতু মেরামতের সময় যানজট এড়াতে ড্রোনের ব্যবহার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন – ক্রীসমাসের আগে কেক তৈরির তৎপরতা
এবার স্থায়ীভাবে এই ব্যবস্থাকে চালু করছেন হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। উল্লেখ্য, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে গাড়ির চাপ বাড়ায় সেতুর গার্ডারগুলির বহনক্ষমতা কমে গিয়েছিল। সেই কারণে ২০১৬ সালের পর সেতুর গার্ডারগুলি মেরামতির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এরপরেই সেতু বন্ধ করে মেরামতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয় সাঁতরাগাছি সেতুর। সেই কাজ বড়দিনের আগেই শেষ করে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ আসার পর বড়দিনের আগেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ ডিসেম্বর। তবে তার অনেক আগেই শেষ হয় সেতু মেরামতের কাজ।